র্যাব বরিশাল-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির জানান আজ সোমবার বেলা ১২টায় আত্মসমর্পণ শেষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে মন্ত্রী সুন্দরবনের লুকিয়ে থাকা বাকী জলদস্যু ও বনদস্যুদের অবিলম্বে আত্মসমর্পণের পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘তা না হলে কেউ রেহাই পাবে না। আমরা খুব শীঘ্রই এ অঞ্চলের লুকিয়ে থাকা জলদস্যু ও বনদস্যুদের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করবো। দেশে কোনো জঙ্গি, দস্যু কিংবা সন্ত্রাসী থাকতে পারবে না। বর্তমান সরকার যে কোনো মূল্যে এ ধরনের অপরাধীদের কঠোর হস্তে দমন করবে।’
আত্মসর্পণকারীরা হলেন, খোকাবাবু বাহিনীর প্রধান কবিরুল ইসলাম ওরফে খোকাবাবু (৩৩), আমিনুল ইসলাম (৩২), মো. শাহজাহান গাজী (৩০), মো. আবদুল আজিজ (৪৪), মো. মিজানুর রহমান (৩৬), মো. রবিউল ইসলাম (২৫), মো. ওসমান গনি (৩৩), মো. রফিকুল গাজী (৩৩), মো. ইয়াছিন আলি গাজী (২৫), মো. মহিদুল ইসলাম (৩৩), মো. মজিবর রহমান (৩৮) ও মো. কালাম (৩৫)। আত্মসমর্পণকালে তারা ছয়টি বিদেশি এক নালা বন্দুক, চারটি বিদেশি দোনালা বন্দুক, একটি পয়েন্ট ২২ বোর বিদেশি এয়ার রাইফেল, ছয়টি সাটারগান, দুইটি এয়ারগান, দুইটি শুটার গান এবং একটি কাটার গানসহ মোট ২২টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং সকল প্রকার অস্ত্রের ১০০৩ রাউন্ড গোলা বারুদ জমা দেয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বরিশাল সদর আসনের এমপি জেবুনেচ্ছা আফরোজ, বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট খান আলতাফ হোসেন ভুলু ও সুন্দরবনের বন সংরক্ষক জহির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।