জেএসসি পরীক্ষা শেষ হতেই নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার হরদমা গ্রামের
আক্ধসঢ়;কাছ আলীর স্কুল পড়–য়া নাবালিকা মেয়ে আর্জিনাকে (১৪) বিয়ের
পিঁড়িতে বসতে হয়। তিনদিন যাবৎ বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা চলার শেষ
মুহুর্তে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. ইয়াসমিন আক্তারের
হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল আর্জিনা।
উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার বাদ আসর একই ইউনিয়নের
বিয়াঘাট চরপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য বেলাল হোসনের ছেলে ট্রলি চালক
আফতাব হোসেন শীতলের (২৪) সাথে ওই বিয়েকে কেন্দ্র করে তিনদিন ধরে
চলছিল জমজমাট গেটসাজানো, সাজসজ্জা, বাদ্য বাজানো। চলে গরু-
মহিষ জবাই করে অতিথি আপ্যায়নের ধুমধাম আয়োজন।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আগমন টের পেয়ে বরযাত্রী, মেয়ের
বাবা-মা সহ সেখানে আগত স্বজনরা পালিয়ে যায়। তবে বাল্য বিয়ের শিকার
হওয়া স্কুল ছাত্রী আর্জিনাকে সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার
হেফাজতে আনা হয়।
পরে বিয়াঘাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইউনুস আলী স্বল্প
বয়সী ওই ছাত্রীটির বিয়ের বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেয়া হবেনা বলে
মুচলেকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেন।