শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

এফডিসিতে হাউমাউ করে কাঁদলেন রিয়াজ

অনলাইন ডেক্স
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১২৫ বার পড়া হয়েছে

৮৪ জন চলচ্চিত্রশিল্পীর ভোটপ্রদানের ভাগ্য ঝুলে আছে আদালতের রায়ের ওপর। এরই মধ্যে উচ্চতর আদালত সাধারণ সদস্য পদ স্থগিত করা কেন অবৈধ হবে না- জায়েদ-মিশা কমিটির কাছে জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।

২০১৯ সালের নির্বাচনে তারা ভোট প্রদানে বিরত ছিলেন। কিন্তু এবার তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার। আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। আসন্ন ১৮ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিষয়টি নিয়ে প্রতিদিন এফডিসিতে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যায় যে আবেগীয় ঘটনা ঘটে গেল, তা অনেককে স্পর্শ করেছে। অনেক জ্যেষ্ঠ শিল্পী নিজেদের ভোটাধিকার চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের সান্ত্বনা দিতে গিয়ে চিত্রনায়ক রিয়াজও নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন। হাউমাউ করে কেঁদে ফেললেন। শিল্পীদের নিয়ে বিচার দিলেন আল্লাহর কাছে।

রিয়াজের কান্নার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে হট্টগোল শুরু হয়। ভোটাধিকার হারানো কমপক্ষে ৫০ জন শিল্পী রিয়াজের সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে কান্না শুরু করেন।

রিয়াজ উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে বলেন, ‘নোট দিয়ে ভোট কেনার দিন শেষ’ নামে একটি নির্বাচনী গান করেছি। এই গানটি যখন বাজছিল তখন ৭০ বছরের বেশি বয়সী একজন ভোটাধিকার হারানো বৃদ্ধ শিল্পী শুনছিলেন আর কষ্ট পাচ্ছিলেন। তার সেই কষ্ট আমাকে আবেগতাড়িত করেছে। সে জন্য কান্না থামাতে পারিনি।

চিত্রনায়ক রিয়াজ এবারের নির্বাচনে সহসভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের হয়ে লড়ছেন। আর তাদের বিপরীতেই মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল।

কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে জায়েদ খান বলেন, ‘সংখ্যাটা ১৮৪ নয়, ১৩০-এর মতো হবে। তারা সহযোগী সদস্য হিসেবে রয়েছে। শুধু ভোট দিতে পারবে না।’

পূর্ণাঙ্গ সদস্য পদ থেকে সহযোগী সদস্য করাটা একটা চ্যালেঞ্জের বিষয় ছিল উল্লেখ করে জায়েদ খান কালের কণ্ঠকে বলেন, এর আগে কোনো কমিটি ভোটারদের বিরুদ্ধে যেতে পারেননি শুধু নিজেদের ভোটব্যাংক নষ্ট হতে পারে এই ভয়ে। আমি চ্যালেঞ্জ নিয়ে এই কাজটা করেছি। সদস্য হওয়ার যোগ্যতা না থাকলে কিভাবে তাদের সদস্য করব? আমার ড্রাইভার তো ২০টি সিনেমায় গাড়ির দরজা খুলে দিয়েছে, তাহলে কি তাকেও সদস্য বানাব? এ রকম দরজা খুলে দেওয়ার মতো ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছে যারা, তাদের তো এখনই সদস্য করতে পারি না। নিয়ম আছে, সংবিধান অনুযায়ী তাঁদের সদস্যপদ দেওয়া হবে।

এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। একটি মিশা-জায়েদ প্যানেল। অপরটি ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451