শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

মাছ আদৌ কি স্বাস্থ্যকর?

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় সোমবার, ৩০ জুলাই, ২০১৮
  • ২৭২ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ঃ

মাছ কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে একটা গবেষণা চালানো হয়েছিল। গবেষকদের মূল লক্ষ ছিল সারা বিশ্বে যে যে অঞ্চলের মানুষ বেশি মাত্রায় মাছ খেয়ে থাকেন, তাদের শরীরের অবস্থা কেমন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা। গবেষণাটি শুরু হওয়ার পর যে তথ্যগুলি সামনে আসতে শুরু করেছিল, তা বাস্তবিকই ছিল চমকপ্রদ!

পরীক্ষাটিতে দেখা গিয়েছিল মাছ খাওয়ার দিক থেকে একেবারে প্রথম স্থানে থাকা পর্তুগালিদের শরীরের অভ্যন্তরীণ অবস্থা ঠিক যেমন, ঠিক তেমনিই সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রুনাই এবং বাঙালিদের শরীরের অবস্থাও। এই সব প্রদেশের মানুষেরা বাকিদের তুলনায় অনেক বেশি ফিট এবং চনমনে। আর এমনটা হওয়ার পেছনে মূল কারণ হল নিয়মিত মাছ খাওয়ার অভ্যাস।

মাছের শরীরে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্য়াটি অ্যাসিড এবং প্রোটিন, মাথা থেকে পা পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি কণাকে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রতিদিনের খাবারে মাছ রাখলে কী কী শারীরিক উপকার মেলে? আসুন জেনে নিই …

আর্থ্রাইটিসের মতো রোগ দূরে পালায় : আর্থ্রাইটিসের মতো রোগকে দূরে রাখতে মাছের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। মাছের শরীরে একাধিক উপকারি উপাদান, মানব দেহে প্রবেশ করা মাত্র এমন খেল দেখায় যে জয়েন্টে প্রদাহের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস মতো রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।

অনিদ্রার সমস্যা দূর হয় : দিনের পর দিন কি রাত জেগে কাটাতে হয়? তাহলে রোজের ডায়েটে মাছের অন্তর্ভুক্তি মাস্ট! নিয়মিত মাছ খাওয়া শুরু করলে দেহের ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি মিটতে থাকে, যার প্রভাবে অনিদ্রার সমস্যা দূর হতে সময় লাগে না।

দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে : মাছের শরীরে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। যারা সারা দিন কম্পিউটার বা ডিজিটাল স্ক্রিনের সামনে বসে কাজ করেন, তাদের রোজের ডায়েটে মাছকে রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়তে থাকে : সপ্তাহে মাত্র ১-২ দিন মাছ খেলেই মস্তিষ্কে থাকা নিউরনদের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে একদিকে যেমন বুদ্ধির বিকাশ ঘটে, তেমনি স্মৃতিশক্তিরও উন্নতি ঘটে। যারা নিয়মিত মাছ খেতে থাকেন তাদের ব্রেণের একটি বিশেষ অংশের ক্ষমতা এতটাই বেড়ে যায় যে বুদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তির দিক থেকে তারা অনেকটাই পিছনে ফেলে দেয় মাছ না খাওয়া মানুষদের।

স্ট্রেস এবং ডিপ্রেশনের প্রকোপ কমে : বর্তমান সময়ে নানা কারণে মানসিক অবসাদে আক্রান্তের সংখ্যাটা যেন ক্রমাগত বাড়ছে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই কম বয়সি। এমন পরিস্থিতিতে মাছ খাওয়া প্রয়োজন আরও বেড়েছে। কারণ স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদ কমাতে মাছের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রেও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে : যারা নিয়মিত মাছ খেয়ে থাকেন, তাদের হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যায়। মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্য়াটি অ্যাসিড রক্তের ফ্য়াটের মাত্রাকে কমাতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

ভিটামিন ডি এর ঘাটতি মেটে : হাড়ের গঠনে এই ভিটামিনটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শরীরে যাতে কানওভাবই ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। আর এই কাজে সাহায্য করতে পারে সামদ্রিক মাছেরা। কারণ এদের শরীরে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে মজুত থাকে ভিটামিন ডি, যা হাড়কে শক্তপোক্ত করার পাশাপাশি নানাবিধ হাড়ের রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় : মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড দেহের ভেতরে যাওয়া মাত্র ত্বক এবং চুলের গোড়ায় পুষ্টির যোগান এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে তার প্রভাবে স্কিন টোনের যেমন উন্নতি ঘটতে শুরু করে, সেই সঙ্গে চুলের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়। ওমাগ থ্রি ফ্য়াটি অ্যাসিড সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের রোগের চিকিৎসাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। বোল্ডস্কাই অবলম্বনে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451