বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

বড়াইগ্রামে মহাসড়কে তিন হাট, সপ্তাহে চারদিন ভোগান্তিতে জনগণ

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৫ জুলাই, ২০১৮
  • ৩৫৬ বার পড়া হয়েছে

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি:
বড়াইগ্রাম নাটোর- পাবনা মহাসড়কজুড়ে গড়ে ওঠা তিনটি হাটের কারণে সপ্তাহে চারদিন
পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। অপচয় হচ্ছে সময়ের। উপজেলার বনপাড়া, আহম্মেদপুর ও রাজাপুরে হাটের
নিদিষ্ঠ সীমানা ছাড়িয়ে মহাসড়জুড়ে বিস্তার লাভ করায় দীর্ঘদিন যাবত ভোগান্তির শেষ হচ্ছে না।
মাঝেমধ্যে নামে মাত্র অভিযান পরিচালনা করা হলেও বাস্তবে এর কোন প্রতিফলন লক্ষনীয় নয়। ফলে বিফলে
চলে যাচ্ছে অভিযান।
পৌরসভার পক্ষথেকে বনপাড়া হাট পঞ্চাশ লক্ষ টাকায় ও উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আহম্মেদপুর হাট প্রায়
চৌদ্দ লক্ষ টাকা এবং রাজাপুর হাট দশ লক্ষ টাকা প্রতিবছর ইজারা দেওয়া হয়ে থাকে।
উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার আওতাধীন বনপাড়া হাট বসে শনি ও মঙ্গলবার। বনপাড়া হাট কালিকাপুর
নতুন বাজার এলাকা পর্যন্ত বিস্তার লাভ করায় মহাসড়ক উপরে কাচা সবজি, রসুন, পেয়াজ এবং পাটের
ক্রয়-বিক্রয় করা হয়ে।
উপজেলার জোয়ারী ইউনিয়ন আওতাধীন আহম্মেদপুর হাট বসে সোম এবং বৃস্পতিবার। এ হাটেও
সীমান অতীক্রম করে মহাসড়কের উপরে কাচা সবজি, রসুন, পেয়াজ, পাট এবং আমের মৌসুমে
আমের প্রাইকারী মোকাম।
রাজাপুর হাট বসে প্রতি বৃস্পতিবার। এ হাটেও মহাসড়কের পাশেই গড়ে উঠেছে বৃহৎ মাছের আরত।
এছাড়াও কাচা সবজি, পিয়াজ, রসুন, পাটতো আছেই।
প্রতি হাটের দিন প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা পাড়াপারের জন্য সময় লাগে স্বাভাবিকের চেয়ে
কয়েকগুন বেশী। কারণ হিসেবে লক্ষ্য করা যায় মহাসড়কের উপরে বিভিন্ন মালামাল পরিবহনের কাজে
ব্যাবহৃত ট্রাক, নসিমন, করিমন, ট্রাক্টর ও ব্যাটারিচালিত অটো ভ্যান রাস্তা দখল করে থাকে। হাটের দিন
শিক্ষার্থীদের চলাচলের চরম দুর্ভোগের স্বীকার হতে হয়।
ভোগান্তির স্বীকার মহল্লার বাসিন্দাগণ অভিযোগ করে বলেন, মাঝেমধ্যে ইউএনও, সড়ক ও জনপদ
বিভাগ এবং হাইওয়ে পুলিশ কিছু অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু দৃষ্টান্তমূলক কোন শাস্তী না হওয়ায়
অভিযান কোন কাজেই আসেনা। যার কারণে আমাদের ভোগান্তী কোন সমাধান নেই।
বনপাড়া পৌরসভার সচিব রেজাউল করিম বলেন, বনপাড়া হাটের ব্যাবসায়ীদের সীমানা অতিক্রম করতে
নিশেধ করা সত্ত্বেও সীমানা অতীক্রম করছে। আবার হাটের জায়গাও সীমিত। তবুও স্থানীয় প্রশাসনের
সহযোগিতা নিয়ে স্থায়ী সমাধানের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উপজেলার গোপাল পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান বলেন, মাছ আড়তের জন্য নতুন
স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। খুব শিঘই নতুন জায়গায় স্থানান্তর করা হবে। এছাড়াও চান্দাই সড়ক
এবং অর্জুনপুর সড়ক মোড়ে সৃষ্ট যানজটের অবসান ঘটাতে মোড় দুটিতে প্রশস্ত জায়গা করা
হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগ এর বাজার অংশ প্রশস্ত করে সড়ক নির্মাণ করলে এ সমস্যার
অনেকটা সমাধান হবে।
উপজেলার জোয়াড়ী ইউপি চেয়ারম্যান চাঁদ মাহমুদ আহম্মেদপুর হাট সম্পর্কে বলেন, হাটের দিনে
একটু- আধটু সমস্যা হতেই পারে। এরাকার স্বার্থে এটুকু সহ্য করতেই হয়।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ নাটোর এর নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম বলেন, সড়কের যান চলাচল
নির্বিঘœ রাখতে হাট এলাকা গুলোতে মাঝেমাঝে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ ছাড়াও সার্বক্ষণিক
দেখভাল করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা জিএম শামস নুর বলেন, অভিযান চলছে। তবে নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ঘনঘন অভিযান চালানো হলে বেশী সফল পাওয়া যেত।
বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার পারভেজ বলেন, হাটগুলোতে মাঝেমধ্যেই ভ্রাম্যমাণ
আদালত পরিচালনা করা হয়। সড়ক যানজটমুক্ত রাখতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরোও বলেন, মহামড়ক যানজট মুক্ত রাখতে পৌর মেয়র, ইউপি চেয়ারম্যান ও হাট ইজারা দারদের
চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। তারা এ বিষয়ে অপারগ হলে ইজারা বাতিলসহ শাস্তি মুলক ব্যাবস্থা
গ্রহন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451