সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না আ স ম ফিরোজ, ঋণখেলাপের মামলা

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৮
  • ৪৯৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ পটুয়াখালী জুট মিলসের পরিচালক হিসেবে ২৭ কোটি টাকার ঋণ নবম বারের মতো পুনঃতফসিলের আদেশ স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। এতে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

সোনালী ব্যাংকের নেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও এম মাইনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।

এ বিষয়ে রিটকারীর আইনজীবী এম মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘আ স ম ফিরোজ ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষও অবৈধভাবে ঋণ নবম বারের মতো পুনঃতফসিল করেছেন। এই আদেশের ফলে আ স ম ফিরোজ এখন ঋণখেলাপী। ফলে তিনি আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।’

চলতি সপ্তাহে পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক হাইকোর্টে এ রিট করেন।

আইনজীবী মাইনুল ইসলাম জানান, আইন অনুযায়ী তিনবারের বেশি ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে না। আ স ম ফিরোজের ক্ষেত্রে আইনের তোয়াক্কা না করে ২০১৮ সালে নবমবারের মতো তাঁর প্রায় ২৭ কোটি টাকার ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়। এই সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। আ স ম ফিরোজ পটুয়াখালী-২ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য।

জানা যায়, বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংকের (বর্তমানে বিডিবিএল) অর্থায়নে ১৯৮৫ সালে পটুয়াখালী জুট মিল স্থাপিত হয়। পরে ১৯৮৯ সালে সোনালী ব্যাংক পটুয়াখালী জুট মিলকে মোট এক কোটি ২০ লাখ টাকার চলতি মূলধন ঋণ দেয়। এরপর চলতি মূলধন ও মেয়াদি ঋণ বিতরণ বাড়তে থাকে। ১৯৯৮ সাল থেকে শুরু হয় সোনালী ব্যাংকের সুদ মওকুফ ও পুনঃতফসিল । এর মধ্যে কয়েক দফা সরকারের নীতিমালার আলোকে সুদ মওকুফ ও সুদবিহীন ব্লক হিসাবের সুযোগও নিয়েছে পটুয়াখালী জুট মিলের মালিকপক্ষ। মিলটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। কোম্পানিকে দেওয়া ঋণের বিপরীতে কোনো মালামাল গুদামেও নেই।

চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজের মালিকানাধীন পটুয়াখালী জুট মিলের ঋণ নিয়ম বর্হিভূতভাবে পুনঃ তফসিল করেন এবং একই সাথে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে সাড়ে ১৩ কোটি টাকার বেশি সুদ মওকুফ করে নিয়েছেন।

এ ক্ষেত্রে কোনো আইনকানুন ও নিয়মনীতি অনুসরণ করা হয়নি। ব্যাংকটি এরইমধ্যে কোম্পানির কাছ থেকে যে সুদ আয় মুনাফা হিসেবে দেখিয়েছে, তা-ও মওকুফ করা হয়েছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রাক্কালেই রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এসব সুযোগ নিয়েছেন বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়। সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ নবম বারের মতো নভেম্বর ঋণটি পুনঃতফসিল করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451