নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
কপোতাক্ষ নদের সাতক্ষীরা তালার কানাইদিয়া-কপিলমুনি খেঁয়াঘাটে মানুষ ও পণ্য পারাপারে
ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ঘাট ইজারাদার শুকুর আলী ও তার লোকেরা সেখানে একটি
মাত্র নৌকা দিয়ে ব্যস্ততম ঘাঁটে মানুষ ও পণ্য পারাপার করছে। শুধু এখানেই শেষ নয়,ঘাঁট ও
নৌকা মাঝিকে প্রতিজন সাধারণ মানুষকে ২ টাকা করে ৪ টাকা দিতে হচ্ছে। সাইকেলসহ
গুণতে হচ্ছে ৫ টাকা করে দু’খাতে ১০ টাকা,। মটর সাইকেল প্রতি ১০ টাকা করে ২০ টাকা।
এছাড়া পণ্যসামগ্রী পারাপারে গুণতে হচ্ছে ভূতুড়ে মাশুল। একদিকে অতিরিক্ত ভাড়া অন্যদিকে
একটি মাত্র নৌকায় করে খেঁয়া পারাপারে জনভোগান্তি বর্তমানে চরমে পৌছেছে।
বিস্তীর্ণ জনপদের সাধারণ মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য ও শত শত ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিদিন কপিলমুনি
পার হতে অতিরিক্ত খরচের পাশাপাশি সময় ক্ষেপন হচ্ছে এক প্রকার বাধ্য হয়ে। একটি মাত্র নৌকায়
এপার থেকে ও পারে যাত্রী নিয়ে গেলে অপেক্ষা করতে হচ্ছে তার ফেরা পর্যন্ত। ততক্ষণে কারো
চাকুরী,কারো ব্যবসা আর ছাত্র-ছাত্রীদের নির্দিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌছাতে প্রতিদিন
বিলম্ব হচ্ছে। নদী পার হতে একটি মাত্রঘাট ও কতৃপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে টু-
শব্দটি পর্যন্ত করতে সাহস পাচ্ছেননা সাধারণ মানুষ। এমন অভিযোগ জনপদের প্রতিটি
সাধারণ মানুষের।
এব্যাপারে ঘাট মালিক শুকুর আলীর প্রতিনিধি জুলফিকার আলী সানা জানান,তারা ৫ জনের
যৌথ মালিকানায় খেঁয়া ঘাট কিনেছেন। এবার ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় ঘাট ক্রয়ের দাবি করে
আরো বলেন,নদীর উপর সাকো মেরামত থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাতে প্রতিদিন ১ হাজার টাকা
করে শ্রমিকের দাম দিতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে তারা অতিরিক্ত ফি আদায় করছেন। তবে ঘাটে
পারাপারে মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে রাখার কথা থাকলেও তারা দীর্ঘ দিন যাবৎ ঘাটে কোন চার্ট বা
তালিকা না ঝুলিয়ে প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত ফি আদায় করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে
যাচ্ছেন।
এব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের নিকট জানতে চাইলে তিনি
বিষয়টি তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। এব্যাপারে
স্থানীয় জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুলহক লিটুর নিকট জানতে চাইলে তিনি
বলেন,বিষয়টি তিনিও শুনেছেন। বিষয়টি অত্যন্ত দু:খজনক। তিনি এব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ
গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।