সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

আশুলিয়ায় জমজমাট ভাবে চলছে প্রতারণামূলক ব্যবসা এম এল এম-প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৮
  • ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ঢাকার আশুলিয়ার নামে বেনামে মাল্টি লেভেল মার্কেটিংয়ে লাখ লাখ টাকা লুটে নিচ্ছে ফাহিম বেষ্ট ইলেক্ট্রিনিক্স ফিউচারসহ বিভিন্ন কোম্পনীর লোকজন। এক একজনের ৪০-৫০ হাজার টাকা নিয়ে এসব ব্যবসা করছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন নতুন কৌশলে এই ব্যবসা চালানো হচ্ছে।

এ প্রতারণামূলক এ ফাঁদ ও তাদের কৌশল থেকে বাঁচতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন অনেকেই।

জানা গেছে, ভিন্ন ভিন্ন নামে আশুলিয়ায় আরো অনেক কোম্পানী আছে। এ ব্যাপারে থানায় এই সমস্থ প্রতিষ্ঠানের মালিকদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। থানা পুলিশসহ সিআইডি পুলিশও তাদের অনেককে গ্রেফতার করার পরও থেমে নেই প্রতারক ব্যবসায়ীরা। তারা কারাগারে জেল হাজতে বন্দী থেকে আদালতের মাধ্যমে জামিনে বেরিয়ে এসেই ভিন্নি ভিন্ন নামে তাদের এই প্রতারণামূলক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

অনেকেই জানান, কিছু ইলেক্টোনিক্স পণ্য বিক্রির নামে আবারো তারা সাধারণ মানুয়ের সাথে প্রতারণার ফাঁদ পাতছে, আকর্ষনীয় বেতন, উচ্চতর কমিশন, বিদেশ ভ্রমনসহ নানা সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। শুধুকি তাই, বলা হচ্ছে এই সকল প্রতিষ্ঠান চালানো হচ্ছে অবসর প্রাপ্ত সেনা সৈনিক দ্বারা। যাতে করে গ্রাহকের আস্থা অর্জন করতে সুবিধা হয়।

জানা গেছে, আশুলিয়ার বগাবাড়ি বাজার সংলগ্ন ওয়ালটন প্লাজার ২য় ও ৩য় তলা ভাড়া নিয়ে জাকজমক পূর্ণ সাজ সজ্জা দিয়ে সাজানো হয়েছে উক্ত প্রতারণার ফাঁদ ও অফিস।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, প্রত্যেক মাসেই ৪-৫ সেমিনার ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। অফিসে চেয়ারম্যান ও ম্যানজারসহ অসংখ্য কর্মকর্তাও আছেন। কিছু সাংবাদিক ও পুলিশ অফিসারের নাম ভাঙ্গিয়ে এরাই সব প্রতারণামূলক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন তারা। শুধু তাই নয় এদেরকে গ্রুপ ভিত্তিক ভাগ করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে ৩০ দিনেই সফলতার গাইড। যেখানে শিখানো হয়ে থাকে প্রতারণার সকল কলাকৌশল।

এ ব্যাপারে ফাহিম বেষ্ট ইলেক্ট্রিনিক্স (ফিউচার টাচ্) এর চেয়ারম্যান এসএম আলমগীর হোসেন এমএলএম এর কথা অস্বীকার করলেও প্যাকেজ আকারে পণ্য বিক্রয়ে কমিশনের কথা অপকটে স্বীকার করেন, এ সময় তার ফিউচার টাচ্ প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ও আটকের বিষয়টি জানতে চাইলে বলেন, এখন কোন মামলা নেই। আগের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। বিলুপ্ত হওয়া ডেসটিনিতে কাজ করার ব্যাপারটাও স্বীকার করেন তিনি।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ফাহিম বেষ্ট ইলেক্ট্রোনিক্স এর চেয়ারম্যান এসএম আলমগীর হোসেন একজন বিলুপ্ত ঘোষিত ডেসটিনী প্রতারক হিসেবে পরিচিত। বিলুপ্ত মাল্টি লেভেল মার্কেটিং এর খোলস পাল্টে ফাহিম বেষ্ট ইলেক্ট্রোনিক্স নামের সাইনবোর্ড লাগিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করছেন তিনি। তাদের লক্ষ প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ শ্রমজীবি মানুষের সর্বস্ব হাতিয়ে নেওয়া। এই প্রতারক চক্রটির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য যুবক-যুবতী। রহস্যজনক কারণে প্রতারক চক্রের প্রতি প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছেন বলে অনেকেই জানান।

আশুলিয়া থানা থেকে বেশি দুরে নয় এই প্রতারণার ফাঁদ সিস্টেম ব্যবসা, অনেকেই বলছে, যে থানা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যাতায়াতকারী রোড বগাবাড়ি এই অবৈধ ব্যবসা চললেও এ যেন দেখার কেউ নেই।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ওসি (অপারেশন) মনিরুল হক ডাবলু বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হলেও এ পর্যন্ত কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেননি। তবে এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও তিনি গণমাধ্যমকে জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451