বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

সুনামগঞ্জে ৩শতাধিক মন্ডপের প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্থ কারু শিল্পীরা

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
  • ৪২৫ বার পড়া হয়েছে

জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া,সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জের সনাতন হিন্দু ধর্মাবলাম্বীদের দূর্গাপুজা কে

সামনে রেখে প্রতিটি মন্ডপে মন্ডেপে বিরাজ করছে উৎসবের

আমেজ। এবার জেলার ১১টি উপজেলায় ৩শতাধিক মন্ডবে পালিত হবে

হিন্দু ধর্মের প্রধান উৎসব দূর্গাপূজা। দেশের অন্যান্য স্থানের

মত জেলায় ধর্মীয় ভাবগার্¤¢ীযের মধ্য দিয়ে ৭অক্টোবর

দূর্গাপূজা র্স্বাথক ও সফল করে তুলতে এবং প্রয়োজনীয় সকল

কাজ সম্পন্ন করতে সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত ব্যস্থ সময় পার

করছে সবাই। প্রতি বারেই প্রতিমা তৈরিতে

সৌন্দর্য,চাকাচিক্য,ভিন্নতার মধ্য দিয়ে সর্বাধিক প্রশংসার

অধিকার লাভ করার জন্য মন্ডপে মন্ডপে চলছে নীরব প্রতিযোগীতা

মন্ডপের আয়োজকদের মাঝে। আর প্রতি বারই প্রতিমা তৈরিতে

কারু শিল্পীরা তাদের নিজেস্ব শৈল্পীক সৌন্দর্যের নিখুত

কারুকার্য প্রদর্শনের সর্বোচ্চ চেষ্টায় ব্যস্ত সময় পার করছে

এখন। দেবী দূর্গার পাশা পাশি

লক্ষী,সরস্বতী,গনেশ,অসুর,মহিষ,কার্তিক,সিংহের মৃন্ময় মূর্তি

তৈরিতে আনা হচ্ছে আধুনিকতার চমক। কোন কোন মন্ডপে দেবী

দূর্গার এবারের আগমন ও গমননের প্রতীকী ঘটনা সহ পৌরাণিক

কাহিনীকে নানা আদলে ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা চলছে। বিদ্যুৎতের

সাহায্যেও ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা চলবে দেব রাজ্যের নানা কল্প

কাহিনী। এবার চোখ ধাদানো সুন্দর্য প্রকাশের জন্য মন্ডবের

সাজ-সজ্জাতেও থাকছে ভিন্নতা। তার জন্য রাত দিন কঠোর পরিশ্রম

করছে কারু শিল্পী সহ সংশ্লিষ্টগন। জানাযায়-এবার সুনামগঞ্জ

জেলার ১১টি উপজেলায় ৩শতাধিক মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর

মধ্যে জেলা সদরে ১৬টি,দক্ষিন সুনামগঞ্জে ১৭টি,জগন্নাথপুরে

২১টি,ছাতকে ২৬টি,ধর্মপাশায় ১৩টি,মধ্যনগরে

২১টি,বিশ্বাম্ভরপুরে ১৭টি,দিরাইয়ে ৪৭টি,দোয়ারা বাজারে

১০টি,জামালগঞ্জে ৪০টি,তাহিরপুরে ২২টি এবং শাল্লায় ২১টি

পূজা মন্ডপ তৈরি করা হচ্ছে। আরো জানাযায়,প্রতি বছরের মত

এবারও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ,জেলা প্রশাসন,উপজেলা প্রশাসন

ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেওয়া হচ্ছে শান্তি শৃংখলা রক্ষায়

বিভিন্ন পদক্ষেপ। দূর্গা পূজা শান্তিপূর্ন,সুশৃংখল ও উৎসব মুখর

করার জন্য জেলা ও বিভিন্ন উপজেলায় পূজা উদযাপন

কমিটি,স্থানীয় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে যে কোন

বিশৃংখলা প্রতিরোধে পুলিশের কয়েকটি ইউনিট কাজ করবে।

প্রতি বছরের মত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক জন ম্যাজিস্ট্রেট

এর নেতৃত্বে খোলা হবে একটি নিয়ন্ত্রন কক্ষ। কারু শিল্পীরা

জানান-প্রতিমা তৈরি করা প্রায় শেষের দিকে সম্পূর্ন্ন শেষ

করার পর রং তুলির নিখুঁত আচঁড়ে ফুটিয়ে তুলা হবে প্রকৃত

অবয়ব। ফুটিয়ে তুলা হবে নাক,কান,চোখ,মূখ ইত্যাদি। এরপর শুরু

হবে পোষাক পরিচ্ছদ পরিদানের মাধ্যমে আরো আকর্শনীর করার কাজ।

প্রতি বছরের মত এবারও দূর্গাপূজা কে সামনে রেখে জেলা ও

উপজেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন আইন-শৃংখলা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট

প্রসাশনের সর্বাতক সাহায্য ও সহযোগীতা পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত

করে জেলা ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দরা বলেন-পূজা

মানেই আনন্দ,পূজা মানেই হিংসা,বিদ্ধেশ ও সকল বেধাবেদ ভুলে

ঐক্যের জয়গান। আবহাওয়া অনূকুলে থাকলে অন্যান্য বছরের চেয়ে

আনন্দ মূখর হয়ে উঠবে এবারের দূর্গাপূজা। জেলা ও উপজেলার

বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক,সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ ও

ছাত্রলীগ নেতা আহসানুজ্জামান শোভন,দীমান চন্দ্র,ব্যবসায়ী

নিউটন রায় সহ সবাই বলেন,হিন্দু ধর্মের প্রধান এই উৎবস

শুশৃংখল ও সুন্দর ভাবে উদযাপন করার জন্য আইনশৃংখলা রক্ষাকারী

বাহিনী সহ সবার একান্ত সহযোগীতা কামনা করেন। তাহিরপুর

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল জানান-সনাতন

হিন্দু সম্প্রতদায়ের প্রধান উৎসব দূর্গাপূজা সুশৃংখল ও শান্তি

পূর্ন রাখতে আমার উপজেলা পরিষদ ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে

সর্বাতক চেষ্টা করব। আশা করি এবারের দূর্গা পুজা আনন্দ মুখর

হবে।তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান,দূর্গা

পূজায় আইনশৃংখলা রক্ষায় আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাতœক চেষ্ট করা

হবে। কোন প্রকার বিশৃংখলা করতে দেওয়া হবে না কাউ কেই।

আইন,শৃংখলা রক্ষা বিশৃংখলকারীদের কঠোর হাতে ধমন করা হবে সে

যেই হউক।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451