তারকাদের ভিডিও ফাঁসের ঘটনার পর থেকেই আলোচনায় রয়েছে রাজ-পরীর সংসার। দাম্পত্য জীবন নিয়ে গণমাধ্যমে পাল্টা বক্তব্য দিয়েছেন দুজন। একে অন্যের দিকে অভিযোগের তীর ছুড়েছেন। আর তাতে ভক্তরা ধারণা করছিল, হয়তো সত্যিই ভেঙে যেতে বসেছে রাজ ও পরীমণির সংসার। স্ত্রী পরীমণির সঙ্গে রাজের সম্পর্ক এখন কোন পর্যায়ে? বিচ্ছেদ কবে হবে? এমন প্রশ্নে যখন নেট দুনিয়া তোলপাড়, ঠিক তখনই সেইসব প্রশ্নের আগুনে ঘি ঢাললেন পরীমণি ও শরিফুল রাজ।
রোববার ভোরে পরীমণি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন। যাতে একসঙ্গে দেখা গেল পরীমণি ও রাজকে। মান-অভিমান ভুলে পাশাপাশি বসে তাদের হাসতে দেখে অবাক নেটিজেনরা। ভিডিওতে দেখা যায়, কেক কেটে পুত্রসন্তান রাজ্যের ১০ মাস পূর্তি উদযাপন করা হচ্ছে। সেখানে পরিবারের অন্যদের সঙ্গে রয়েছেন শরিফুল রাজ। ওই ভিডিওতে রাজ ও পরীমণিকে পাশাপাশি বসে বেশ হাসিখুশি দেখা যায়। ওই ভিডিওর সঙ্গে সুন্দর ক্যাপশন জুড়ে দিয়ে পরীমণি লিখেছেন, ‘আজ রাজ্যের ১০ মাস পূর্ণ হলো, আলহামদুলিল্লাহ। মাসের ১০ তারিখটা আমাদের জন্য অনেক স্পেশাল! ব্যস এতটুকুই।’
রাজ-পরীর এমন পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের কয়েক দিন পার না হতেই রাজ-পরীর একত্রে আসা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। নেটিজেনরা বলছেন, এমন নাটক এর আগেও তারা করেছিলেন। অনেকে আবার এই দম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কয়েক দিন আগেও রাজ-পরীর সম্পর্ক ছিল দা-কুমড়া পর্যায়ের। সে সময় পরীমণি অভিযোগ করেছিলেন, ‘রাজ নিয়মিত বাসায় থাকে না। সন্তানের প্রতিও সে দায়িত্বও পালন করে না। তবুও লোক দেখাতে বিভিন্ন ইভেন্টে আমরা একসঙ্গে অংশ নিয়েছি। কিছুদিন আগে আমি হাসপাতালে ছিলাম, আমাকে দেখতেও যায়নি। বরং বাসায় নিজের জিনিসপত্র গুছিয়েছে চলে যাওয়ার জন্য।’
তাহলে বিচ্ছেদের দিকে যাচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নে পরী বলেছিলেন, ‘২০ মে আমাকে ছেড়ে ও (রাজ) চলে গেছে। বিচ্ছেদ তো সেদিনই হয়ে গেছে। শুধু আইনি প্রক্রিয়া হয়নি। একটা মানুষ চলে গেলে তো তাকে আর ধরে রাখা যায় না। পরী হাসতে হাসতে আরও বলেন, ‘রাজ এখন বলে কী, আমাদের বিয়ের কাবিননামা নাকি ভুল। আমাদের নাকি ঠিক ঠিক বিয়েই হয়নি। যে এভাবে বলতে পারে, সে ভয়ংকর মানুষ। তার সঙ্গে থাকা যাবে না। শুধু কষ্ট লাগবে সন্তানের কথা ভেবে।’
রাজ আবার ফিরে এলে তাকে গ্রহণ করা হবে কিনা প্রশ্নেও নারাজি দিয়েছিলেন পরীমণি। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘বিয়ে-সংসার মুদি দোকান নয়। যে মানুষ স্ত্রী-বাচ্চার মায়ের চরিত্র নিয়ে কথা তুলতে পারে, তার সঙ্গে ঘর করার সুযোগ নেই আর। আমি রাজের স্ত্রী, এটি আর শুনতে চাই না। আমি ওর প্রাক্তন, এটা শোনাটাই বরং সম্মানের।’
পরীর এমন বক্তব্যে রাজ জানিয়েছিলেন, পরীর সিদ্ধান্তই তিনি মেনে নেবেন।
এমন ঝগড়াঝাঁটির পর রাজ-পরীর একত্রে হওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, লোক দেখানোর জন্যই কি রাজ-পরী আবারও একত্র হয়েছেন? যদিও এ বিষয়ে মুখ খোলেননি রাজ-পরীর কেউই।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি পরী সন্তানসম্ভবা বলে গণমাধ্যমে খবর আসে। তখনই সামনে আসে ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর রাজ ও পরীমণির গোপন বিয়ের খবর। পরে ২২ জানুয়ারি তারা পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন। একই বছরের ১০ আগস্ট তাদের ছেলে শাহীম মুহাম্মদ রাজ্যর জন্ম হয়।