রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

সরিষাবাড়ী শিক্ষা অফিসারের লাগামহীন দূর্নীতি ও অর্থ আত্তসাতের অভিযোগ

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
  • ৪৩৩ বার পড়া হয়েছে

মাসুদুর রহমানঃ জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ

ফেরদৌসের বিরুদ্ধে লাগামহীন দূনিতী ও অর্থ অতœসাতের অভিযোগ উঠেছে।শিক্ষা

অফিসারের অননুমোদিত কর্মস্থল ত্যাগ,দূর্নীতিমুলক লাখ লাখ টাকা আতœসাৎ,প্রশ্ন

পত্র বিক্রির টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আতœসাৎ,কম মূল্যের প্রশ্ন চড়া দামে

বিক্রি,বদলী বানিজ্য,উপবৃত্তির টাকা কর্তন,সন্তান প্রসবের তথ্য গোপন রেখে

মাতৃত্বকালীন ছুটি মঞ্জুর করার অভিযোগ আওয়া গেছে।

সুত্রে জানা যায়-সরিষাবাড়ী উপজেলায় ১৩৪ টি সরকারী প্রাথমিক

বিদ্যালয় রয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ফেরদৌস

নিজে আর্থিক ভাবে লাভবান হয়ে বিভিন্ন খাতে বরাদ্ধকৃত টাকা ব্যায়

না করে প্রধান শিক্ষকদেরকে নানা ভয় ভিতী দেখিয়ে জিম্মি করে কাগজে

কলমে সই স্বাক্ষর গ্রহন করে ব্যায় দেখিয়ে আতœসাৎ করে আসছেন।ইউ,ই,ও

ফেরদৌসের দুষকর্মে ইউ,ই,ও রোকনুজ্জামান অন্যতম সহযোগী। কতিপয়

প্রধান শিক্ষক ইউ,ই,ও ফেরদৌসের অন্যায় দাবী মেনে নিতে অস্বীকৃতি

জ্ঞাপন করায় তাদের চেক বিতরন করেননি।মোঃফেরদৌস কর্মস্থলে বিনা

অনুমেিত উপস্থিত থাকেন সপ্তাহে ৪দিন।

আরো জানা গেছে উপজেলার দক্ষিণ দামোদরপুর সরকারি প্রাথমিক

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রোকেয়া সরকার চাকুরীতে যোগদানের আড়াই

মাস পূর্বেই সন্তান প্রসব করেন।সন্তানকে নিয়েই তিনি ১১/৭/১৬ ইং

তারিখে বিদ্যালয়ে প্রথম যোগদান করেন।তথ্য গোপন করে সরিষাবাড়ী

উপজেলা কমপেক্ধেসঢ়;্রর মেডিকেল অফিসার ডাঃ বৃষ্টি ঘোষের দেয়

প্রত্যায়নুযায়ী সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ ১৫/৮/১৬ ইং তারিখ

নির্ধারন করে ১/৮/১৬ হতে ৩১/০১/১৭ ইং পর্যন্ত মোট ১৮০ দিন

মাতৃত্বকালীন ছুটির আবেদন করেন।এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা

অফিসার মোহাম্মদ ফেরদৌস এবং সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার

মনিরুজ্জামান (মিলন) প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামকে উক্ত ছটির আবেদনে

সুপারিশের জন্য ভয়-ভীতি ও চাপ প্রয়োগ করলেও প্রধান শিক্ষক এ গুরুতর অন্যায়

কাজ করতে রাজী হননি।প্রধান শিক্ষকের সুপারিশ উপেক্ষা করে উপজেলা

প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ফেরদৌস ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা

অফিসার মনিরুজ্জামান (মিলন) মোটা অংকের উ॥কোচের বিনিময়ে ছুটি

মঞ্জুর করেন।

সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রতি সেট ৩ টাকা দরে

বিক্রি হলেও আনন্দ স্কুল ও কিন্ডার গার্টেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের নিকট

থেকে ৫ টাকা সেট দরে প্রায় ৭ হাজার সেট প্রশ্ন পত্র উপজেলা প্রাথমিক

শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ফেরদৌস এবং সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার

রুকুনুজ্জামান নিজেরাই বিক্রি করে সমুদয় টাকা আতœসাৎ করেন।

প্রকাশ থাকে যে সরকারী বিধি মোতাবেক প্রশ্নপত্রের বিক্রিত টাকা

ব্যাংকে জমা না দিয়ে ভূয়া ভাউচারে খরচ দেখিয়ে আতœসাৎ করেন। এ

ছাডও প্রশ্ন পত্র প্রনয়ন কমিটির মতামত ছাড়াই মনগড়া নিম্নমানের

প্রশ্ন পত্র প্রনয়ন করেন।

এ ছাড়াও শিক্ষক শিক্ষিকা বদলী ও ছুটি মন্ধসঢ়;জুরীতে চলছে নানা

দুর্নীতি।ছুটি ভোগের পর ছুটির দলিলাদি ধূংস করা হয়।অর্থ বছর ভিক্তিক

প্রধান শিক্ষকদের ভ্রমন ভাতা জুন মাসের মধ্যে পরিশোধের নিয়ম থাকলেও তা

উপেক্ষা করে তার ব্যাক্তিগত হিাসাবে রেখেছেন বলে জানা গেছে। প্রধান

শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ন কাজ ফেলে ভ্রমন ভাতার জন্য তাগিদ দিলেও তা

উৎকোচ ছাড়া দিচ্ছেন না । প্রকাশ থাকে ভ্রমন ভাতা সর্ব নিম্ন ৪৮০

টাকা থেকে ১৮ শত টাকা নিধারিত হয়ে থাকে। এ টাকা থেকেও উপজেলা

প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ফেরদৌস প্রতি জনের নিকট ৩ শত

থেকে ৮ শত টাকা উৎকোচ দাবী করছেন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে গত ১৯ আগষ্ট

ইউ,ই,ও মোহাম্মদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী

পরিচালক মোঃ আহসান হাবিব তদন্তে আসলে পাখাডুবি সরকারী

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা

বিদ্যালয়ের টয়লেট মেরামত,¯ীপ,রুটিন মেইনটেনেন্স,প্রাক-প্রাথমিকের

বরাদ্ধকৃত টাকা বিদ্যালয়ের নির্ধারিত হিসাবে জমা না দিয়ে উক্ত কাজের

টাকা অর্থবছর শেষে নিজ হিসাবে রেখে বাহক চেকের মাধ্যমে প্রধান

শিক্ষকদের হাতে হাতে দিয়ে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা উৎকোচের

লিখিত অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তাও নিকট দাখিল করেন।এ ছাড়া

কান্দারপাড়া কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির

সভাপতি মিন্টু তালুকদারের নিকট থেকে উপবৃত্তি বাবদ ৯ হাজার ও টয়লেট

মেরামত,¯ীপ,রুটিন মেইনটেনেন্স,প্রাক-প্রাথমিকের বরাদ্ধকৃত টাকা

থেকে ৩ হাজার টাকা উৎকোচ নেয়ার লিখিত অভিযোগ করেন।মালিপাড়া

এবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের নিকট থেকে চাপ

প্রয়োগ করে উপবৃত্তি থেকে ১৬ হাজার টাকা উৎকোচ নেয়ার লিখিত

অভিযোগ দেন।তারাকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ-কারী শিক্ষক

সুরাইয়া আক্তার (মীরা) চিকিৎসা ছুটি থাকাবস্তায় তাকে নিয়ম

বর্হিভূত এবং তার বদলীর আবেদন ব্যাতিরেকে বাটিকামারী সরকারী

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী করে দেন। উলেখ্য যে উক্ত শিক্ষককে বদলী করিয়ে তার

স্থলে অন্য শিক্ষকের নিকট হতে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে বদলী করিয়ে

দেন।এ ছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ আহসান

হাবিব তদন্তকালে,চকহাটবাড়ী প্রাঃবিদ্যাঃ সহকারী শিক্ষক মোঃ ফরিদুল

ইসলাম,করগ্রাম সরকারী প্রাঃ বিদ্যাঃ প্রধান শিক্ষক আলহাজ আব্দুস

সাত্তার,খাগুরিয়া সঃপ্রাঃবিঃ প্রধান শিঃ নাজিম উদ্দিন,দক্ষিণ দামোদরপুর

সঃপ্রাঃবিঃ শফিকুল ইসলাম,বীর বড়বাডীয়া সঃ প্রাঃ বিঃ প্রধান শিক্ষক

আতাউর রহমান, উত্তর বাউসী সঃপ্রাঃ বিদ্যাঃ প্রধান শিক্ষক এস কে এম

খলিলুর রহমান,দামোদরপুর প্রধান শিক্ষক বজলুর রশিদ,কুডালিয়া পটল প্রধান

শিক্ষক আব্দুল আওয়াল,পশ্চিম পোগলদিঘা প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল

হক,বড়সরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাফ্ধসঢ়;ফর

আলী,কোনাবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও বাংলাদেশ

প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সোহরাব আলী আকন্দ,আব্দুল মালেক

সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক

সমিতির সরিষাবাড়ী উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক নিয়ামুন নাসির

ভূইয়া সহ ১৮ জন দূনীতির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451