সালেকিন মিয়া সাগরঃ চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নে অবস্থিত কুড়ুলগাছি সরকারি হাসপাতালটি উদ্বোধন না হয়ায় ও ডাক্তার সংকটের কারণে অকেজো হয়ে পড়েছে যার ফলে হাজার হাজার মানুষ সঠিক সময় সুচিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। কয়েক জন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পদায়ন থাকলেও হাসপাতালটির চিকিৎসা সেবা চলছে মাত্র ১ জন ডাক্তার দিয়ে। তাও আবার তিনি দুর-দূরান্তে থেকে ছুটে এসে সঠিক সময় ও নিয়মিত হাসপাতালে উপস্থিত হতে পারেন না। ফলে কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের প্রায় ১ লক্ষ ৫ হাজার লোকের চিকিৎসা সেবা এখন চরম অনিশ্চিত হয়ে পরেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বহু কাল আগে(ব্রিটিশ আমলে) থেকে কুড়ুলগাছি গ্রামে অবস্থিত হাসপাতালটি ডাক্তার সংকট প্রকট আকার ধারন করায় প্রতিনিয়ত এই এলাকায় বিভিন্ন রকম দূর্ঘটনার ঘটনা ঘটেই চলেছে। হাসপাতালটিতে ডাক্তারের সংকট থাকায় মূমর্ষ রোগিদের নিয়ে ছূটতে হয় দুরদূরান্তে। যার ফলে প্রতিনিয়ত মূত্যর ঘটছে রহরহ। ১০ বছর আগে চুয়াডাঙ্গা দুই আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য হাজী আলি আজগরের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালটির পুরানো ভবন ভেঙ্গে নতুন কাঠামোগত বিল্ডিং তৈরি করা হলেও আজ পর্যন্ত তা উদ্বোধন করে কার্যকম চালানো হয়নি।যার ফলে মানস্মত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত এলাকার জনগন। শুধু মাত্র কমিউনিটি হাসপাতালের আওতায় যত সামান্য ঔষধ রোগিদের মাঝে প্রদান করা হয়ে থাকে তাও আবার নিয়মিত না। খোজ নিয়ে জানা যায়,দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের দূর্গম জনপদ থেকে অনেক কষ্টে অর্জিত টাকা পয়সা খরচ করে আসা রোগীদের কেউ কেউ ঠাঁয় দাড়িয়ে আছে, আবার কেউ কেউ চিকিৎসা বঞ্চিত হয়ে বাড়ি ফিরছে। ঔষধ ও ডাক্তার সংকট থাকায় প্রতিনিয়ত এলাকার গরীব দুস্থ রোগীদের একদিকে যেমন চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে তেমনি হাসপাতালের কর্মচারিরা পড়েছে রোগিদের ক্ষোভের মুখে ।হাসপাতালে কর্তব্যরত একমাত্র ডাক্তার সম্প্রতি অবসর প্রাপ্ত হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আক্তার আলি নিজেই দুর-দুরান্তে থেকে এসে হাসপাতালের প্রশাসনিক কাজ সামলানোর পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। ডা.আক্তার আলির বাসা দূরে হওয়ায় নিয়মিত হাসপাতালে না আসতে পারায় এতে করে পুরো হাসপাতাল পরিচালনা করা কোন ভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। হাসপাতালের বর্তমান চিকিৎসা ও চিকিৎসক সংকট প্রসঙ্গে কথা বলতে গেলে, স্থানীয় অনেকে বলেন, খুবই সমস্যায় আছি। প্রশাসনিক ও চিকিৎসা সেবা সামলাতে গিয়ে কর্তব্যরত ডাক্তার নিজেরাই রোগী। উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিত তদবির করেও দীর্ঘদিন যাবত ডাক্তারের পদায়ন হচ্ছেনা। তাদের মতে এ অবস্থা চলতে থাকলে হয়তো বা কর্তব্যরত ডাক্তার ও একসময় বদলী হয়ে চলে যেতে পারেন। দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের বৃহত্তর জনগোষ্টির এক মাত্র চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র হাসপাতালটি অতি দূত উদ্বোধন করে এবং পর্যাপ্ত ডাক্তার পোষ্টিং দিয়ে চিকিৎসা সেবার মান উনয়ন্ন করবে এমনটাই আশা করছে ভূক্তভোগীরা।