রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার রাজধানীতে নিষিদ্ধঘোষিত হিজবুত তাহরীরের ২ সদস্য গ্রেপ্তার বগুড়ায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বিএনপি-জামায়াতপন্থি ১০৭ জন অতি বৃষ্টির কারণে লালমনিহাট জেলায় বন্যা নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত বগুড়ায় ট্রাক পরিবহনের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার আত্মসাৎ ও মামলা টিএমএসএস সদস্যদের (RAISE) প্রকল্পের উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিত্যক্ত চুল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বোনার চেষ্টা আদিতমারীর নারীদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম

আত্রাইয়ে এক গ্রাম্য ডাক্তার মিজানুর রহমান মজনু মানুষের সেবায় 

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শনিবার, ২০ আগস্ট, ২০১৬
  • ২৫০ বার পড়া হয়েছে

 

 

মোঃ রুহুল আমীন আত্রাই প্রতিনিধিঃ নওগাঁ আত্রাইয়ে খেটে খাওয়া ও শত শত মানুষের ভরসা, চিকিৎসা সেবায় যার অবদান স্মরণ করার মত তিনি মো.মিজানুর রহমান মজনু। কেন বা কীভাবেই বা তিনি হয়ে উঠলেন এমন ভরসার পাত্র সেটাই আজকের মূলবিষয়।

 

যিনি সবার কাছে ‘মজনু ডাক্তার’ নামে পরিচিত। খেটে খাওয়া মানুষ বা যাদের কাঁড়ি কাঁড়ি টাকায় চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার সামর্থ্য নেই তাঁদের এবং গণমানুষের ভরসা মজনু ডাক্তার।

 

এ উপজেলায় যখন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছিলনা তখন থেকে মানুষের ডাকে ছুটে যেতেন। এলাকায় এমবিএস না থাকায়  যেতে হত জেলা সদর অথবা রাজশাহীতে।

 

নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলার ত্রিমহনী নামক এক গ্রামে মধ্যবিত্ত পরিবারে জম্ম। ভাগ্য বিরামবনায় চলে আসেন আত্রাইয়ে। মজনু বড় ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ৮ম পাশ করা পর অর্থ অভাবে আর লেখা পড়া হয়ে উঠেনি। মনের প্রবল ইচ্ছা শক্তিতে বিশিষ্ট ডাক্তার তরনী হাত ধরে এ থেকে পথ চলা। চলে গরীব মানুষের চিকিৎসা সেবা।

 

যার উৎসাহে ও অনুপ্রেরণায় আজ আমি মজনু ডাক্তার তিনি হলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক মরহুম আতাউর রহমান মেম্বার। তিনি বলেছিলেন, ব্যবসা নয়, মানুষের জন্য ডাক্তার হতে। যেন সব শ্রেণী-পেশার মানুষই যেন তোমার কাছে  সমান সেবা পায়।

 

তিনি জানান আমার কাছে চিকিৎসা নিতে যারা আসেন, তাদের বড় অংশই ভ্যানচালক, খেটে খাওয়া মানুষ।

 

প্রায় চার দশক ধরে এভাবে মানুষের সেবা করে চলেছেন মজনু ডাক্তার। সর্বস্তরের রোগী যাতে তাঁর সেবা পান তাই তিনি নিজের চেম্বারে নূ্ন্যতম ফি প্রথমে মাত্র ১০ টাকা নির্ধারণ করেন। ২০০৫ সালে বিভিন্ন কারণে ফি আরও ১০ টাকা বাড়িয়ে ২০ টাকা করেছেন। এখন মাত্র ২০ টাকার বিনিময়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ তাঁর কাছে চিকিৎসা পরামর্শ নিতে আসেন।

 

তিনি আরও জানান, ‘টাকা নয়, আমি মানুষের দোয়া চাই। রাস্তায় দেখা হলে তারা যে সম্মানটা আমাকে করে, এটাই আমার বড় পাওয়া।’

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451