বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার রাজধানীতে নিষিদ্ধঘোষিত হিজবুত তাহরীরের ২ সদস্য গ্রেপ্তার বগুড়ায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বিএনপি-জামায়াতপন্থি ১০৭ জন অতি বৃষ্টির কারণে লালমনিহাট জেলায় বন্যা নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত বগুড়ায় ট্রাক পরিবহনের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার আত্মসাৎ ও মামলা টিএমএসএস সদস্যদের (RAISE) প্রকল্পের উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিত্যক্ত চুল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বোনার চেষ্টা আদিতমারীর নারীদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম

কাঁঠালিয়ায় একজন  শিক্ষক দিয়ে চলছে    মধ্য নেয়ামতপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় 

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৬
  • ৩০৬ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

 

ঝালকাঠি সংবাদদাতাঃ-সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি, সাড়াদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি। আদেশ করেন যাহা মোরগুরু জনে, আমি যেন সেই কাজ করি ভাল মনে। সাধারণত গুরু বলতে আমরা শিক্ষককেই বুঝি, যিনি আমাদেরকে শিক্ষা দিয়ে থাকেন। সেই গুরুই যদি না থাকে তা হলে কে শিক্ষা দিবেন। আবার যদি ১১৩ জন শিক্ষার্থীর জন্য গুরু থাকেন এক জন। তা হলে তিনি কতটুকু শিক্ষা দিতে পারেন তা খুব সহজেই বুঝা যায়। এমন একটি গুরুহীন বিদ্যালয়ের খবর মিলেছে ঝালকাঠির কাঠালিয়ায়। যা ২০ নং মধ্য নেয়ামতপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে পরিচিত। যেখানে শিশু শ্রেণিতে ২০, প্রথম শ্রেণিতে ২১ জন, ২য় শ্রেণিতে ২৫ জন, ৩য় শ্রেণিতে ২৩, ৪র্থ শ্রেণিতে ২০ ও ৫ম শ্রেণিতে ১৪। সর্ব মোট ১১৩ জন শিক্ষার্থীর অনুকুলে শিক্ষক রয়েছেন একজন। তিনিই নাকি আবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। ওই বিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, প্রায় ১ বছর যাবৎ আমি একাই বিদ্যালয়টি পরিচালনা করে আসছি। কিভাবে এত ক্লাশ পরিচালনা করেন জানতে চাইলে তিনি জানায় প্রতিটি ক্লাশে যতটুকু সময় দরকার তা না দিয়ে একটু সময় কম করে দিয়ে কয়েকটি ক্লাশ বেশী নিয়ে থাকি। সব ক্লাশ একার পক্ষে নেয়া সম্ভব হয় না। আবার যে দিন উপজেলায় শিক্ষকদের মাসিক সভা থাকে তখন আমার আত্মীয় স্বজন দ্বারা বিদ্যালয়ে ক্লাশ পরিচালনা করি। তাদেরকে না পেলে মাঝে মাঝে ক্লাশ বন্ধও থাকে। তবে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আমার সাধ্যমত ক্লাশ নেয়ার চেষ্টা করি। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রিয়াজুল ইসলাম জানান, একটি বিদ্যালয়ে পাঠদান দিতে কমপক্ষে চার জন শিক্ষক প্রয়োজন। সেখানে একটি বিদ্যালয়ে মাত্র একজন শিক্ষক। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সরকারি বিধি ছাড়া আমরা কিছুই করতে পারি না। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলীর একটি বিধি বিধান রয়েছে। বিধি অনুযায়ী উক্ত বিদ্যালয়ে বর্তমানে কোন ক্রমেই শিক্ষক দেয়া যায় না। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে যোগযোগ করা হয়েছে। তবে আমার পূর্বের শিক্ষা অফিসার দুই মাস পূর্বে অন্য বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে মৌখিক ভাবে ওই বিদ্যালয়ে পাঠদানের অনুমতি দিয়েছেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451