ঝিনাইদহ জেলা সংবাদাতাঃ
জেলা মৎস্য অফিসের অধীন ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলায় সরকারী টাকায় পুকুর খনন কাজে চরম দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যেনতেন ভাবে কাজ করে বরাদ্দকৃত টাকা প্রকল্প কমিটির সভাপতি তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। তবে প্রকল্প সভাপতিদের দাবী জেলা মৎস্য কর্তকর্মাকে ১৫% টাকা ঘুষ দেওয়ার কারণে তার সঠিক ভাবে কাজ করতে পারিনি।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, গত অর্থ বছরে মঙ্গা প্রকল্পের আওতায় ঝিনাইদহে বিল বাওড় ও নদীর মধ্যে পুকুর খনন বাবদ ২৯ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়।
এর মধ্যে ঝিনাইদহ সদরের বিষয়খালী বেগবতী নদীর মধ্যে ২টি পুকুর খনন বাবদ ৬ লাখ টাকা, মহেশপুর সস্তার বাওড়ে পুকুর খনন বাবদ ১০ লাখ টাকা, শৈলকুপার কন্যাদহ বিলে পুকুর খনন বাবদ ৭ লাখ টাকা, শৈলকুপার কালীমরা নদীতে পুকুর খনন কাজে ৩ লাখ টাকা ও ঘোড়শাল ইউনিয়নের পিরোজপুর খালে পুকুর খনন বাবাদ ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। মঙ্গা কবলিত জেলা না হলেও রাজনৈতিক তদ্বীরে এই প্রকল্প পাস করিয়ে আনা হয় ঢাকা থেকে।
সুত্র মতে এসব প্রকল্প পাস করিয়ে আনতেও টাকা খরচ হয়। নাম প্রকাশে অনি”ছুক একজন প্রকল্প সভাপতি জানান, উপর থেকে নিচ পর্যন্ত টাকা দিতে দিতে শেষ পর্যন্ত আমাদের কোন লাভ থাকে না। তাই পুকুর কাটার নামে যে টুকু করা দরকর তাই করা হয়েছে।
সরেজমিন কয়েকটি নদী ও বাওড়ের পুকুর খনন পর্যবেক্ষন করে দেখা গেছে, যেনতেন ভাবে কাজ করে জুন মাসে বিল তুলে নেওয়া হয়েছে। সরকারী নিয়ম মেনে কেও পুকুর খনন করেনি।
ঝিনাইদহ সদরের মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বকর মালিথা জানান, তার ইউনিয়নে দুইটি পুকুর খননের কাজ আমার ভাতিজা করছে।
তিনি কিছুটা অনিয়মের কথা স্বীকার করে জানান, জেলা মৎস্য অফিসার আকতার উদ্দীনকে ১৫% টাকা দিতে হয়েছে। তিনি আরো জানান, সব পিআইসিদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। ঘাটে ঘাটে টাকা দেওয়ার কারণে পুকুরের মাটি কেটে গভীর করা যায়নি। বাড়েনি আয়তন।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা মৎস্য অফিসার আকতার উদ্দীনের মোবাইলে বেশ কয়েকবার মোবাইল করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।