সেলিম হায়দার,তালা
এক সময়ের সোনালী আঁশ পাটের সুদিন আবার ফিরে এসেছে। আর কৃষকরা দেখছে সোনালী স্বপ্ন। অবহেলা, অদক্ষতা, অব্যব¯’াপনা এবং সীমাবদ্ধতার কবলে পড়ে হারিয়ে যাওয়া পাটচাষ ফিরে এসেছে সগেীরবে। জলবায়ু পরিবর্তনে প্রকৃতি ও পরিবেশ বাঁচাতে পরিবেশবান্ধব পাটের গৌরব ফিরে আসার উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এতে করে সোনালী আঁশ পাট ফিরে পাবে তার পুরনো ঐতিহ্য। এক সময়ের সোনালী আঁশ পাটের সুদিন আবার ফিরে আসেছে সাতক্ষীরা তালা উপজেলায়। আর কৃষকেরা দেখছে সোনালী স্বপ্ন যাতে করে এ এলাকার সোনালী আঁশ পাট ফিরে পাবে তার হারানো যৌবনকে। পাট ও পাট শিল্পের উন্নয়ন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এবছর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে পাটের আশাম্বিত ফলন হয়েছে। এখানকার গ্রামের মেঠো পাথের দু পাশ দিয়ে পাট চাষের সারি সারি মেলা চোখে মেলে। পাট মৌসুমের প্রায় শেষ সময় এখন। ব্যস্ততা বাড়তে শুরু করেছে কৃষকদের। তাদের মুখে একটি কথা, গত কয়েক বছর লোকসান হলেও এবছর বাজারে পাটের ভালো দাম পাবো।
উপজেলার সুজনশাহা গ্রমের পাটচাষী পীর আলী বলেন এবার সাড়ে তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। সেঁচ সুবিধা যথা সময় বৃষ্টির কারনে পাট ভাল হয়েছে। আশা করি এবার পাট বিক্রয় করে গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো।
দোহার গ্রামের কৃষক মজিবার রহমান মোড়ল’র সঙ্গে কথা বলে জানাযায়, গতবছর বৃষ্টির অভাবে পাটের অব¯’া খুব খারাপ হয়ে পড়েছিলো। তাছাড়া পাটের বাজার দামও খুব কমছিলো। কিন্তু এবছর যথা সময়ে পানি পেয়েছি যে কারনে পাটের ফসলও ভালো হয়েছে পাশাপাশি এবার পাটের বাজার দরও খুবভালো পাবো বলে আশা করছি।
উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্রে জানা যায়, তালা উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে এ বছর প্রায় ৩ হাজার ২শত হেক্টর জমিতে পাটের চাষ করা হয়েছে।
এ সব পাটের বয়স তিন থেকে চার মাস। চাষীরা পাট বীজ বপনের পরপরই প্রাকৃতিক অনুকুল পারিবেশ পেয়েছে। যে কারনে অন্যান্ন বছরেরর তুলনায় এবার পাট অত্যান্ত ভালো হয়েছে।
তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সামছুল আলম বলেন, তালা উপজেলার পাট চাষের লক্ষমাত্র ১শত ৫০ হেক্টর থাকলেও তা ছাড়িয়ে গেছে। গত বছরের তুলনায় এবার চাষীরাও পাট চাষের জন্য অনুকুল পরিবেশ পেয়েছে। যে কারনে তার অন্যান্ন বছরের তুলনায় এবার বেশি লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।