বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৭:৩৫ অপরাহ্ন

কলাপাড়ায় ভাড়া বাড়িতে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম, ভোগান্তি চরমে

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় সোমবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৭
  • ২৩০ বার পড়া হয়েছে

পারভেজ, কলাপাড়া প্রতিনিধি : ভূমি মালিকানার জটিলতায় পুরাতন ভবনের স্থলে নতুন ভবন নির্মান কাজে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। ফলে ভাড়া বাড়ীর ছোট কক্ষে চলছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার চৌকি বিচারিক আদালতের কার্যক্রম।

ছোট ভবনে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ভোগান্তিতে রয়েছে বিচার প্রার্থী আইনজীবিসহ আদালত সংশ্লিস্টরা। আর এ অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে সংশ্লিস্ট মন্ত্রানালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছে সংশ্লিস্ট সকলে।রেসিডেনশিয়াল মেজিস্ট্রেট এর মাধ্যমে ১৯২৭ইং সাল থেকে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চলছে চৌকি বিচারিক আদালতের কার্যক্রম। ১৯৮৪ইং সালে চালু হয় সহকারী জজ এবং পরবর্তীতে জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতের কার্যক্রম।

নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচারিক বিভাগ আলাদা হলেও নির্বাহী বিভাগের পুরাতন ভবনেই চলছিল আদালতের কার্যক্রম। দীর্ঘদিনের পুরাতন ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়লে নেয়া হয় নতুন ভবন নির্মানের উদ্যোগ। ফলে ভাড়া বাড়ীর ছোট কয়েকটি কক্ষে চলছে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম।আদালত ভবনের সামনে খোলা জাগয়া না থাকায় প্রায় দুই হাজার দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলার বিচারপ্রার্থীসহ সংশ্লিস্টরা রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

অনেক সময় হাজিরাও দিতে পারছেননা আইনজীবি সহকারীরা। পুলিশের গাড়ী প্রবেশের রাস্তা নাই। তাদের বসার জায়গা নাই। সব চেয়ে বেশি কষ্ট ভোগ করছে নারী ও বয়োবৃদ্ধ মানুষ।বিচারপ্রার্থী মনির হাওরাদার জানান, কোন জায়গা নাই বসার।

রোদের মধ্যে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে আছি। কখন ডাক পড়ে জানিনা আরো কত সময় দাড়িয়ে থাকব তাও জানিনা। একই কথা জানালেন বিচারপ্রার্থী রমজান বিবি, সফুরা খাতুন, নাজমা বেগম।আদালতের আইনজীবি এ্যাড. মজিবুর রহমান চুন্নু বলেন, আইজীবিদের বসার মত জায়গা নাই।

বিচাপ্রার্থী এবং ফরিয়াদীর সাথে কথা বলতে গেলে সড়কে যেতে হয়। এ্যাড. আবুল বাশার বলেন, যখন কোর্টে কাজ না থাকে তখন রাস্তায় দাড়িয়ে থাকতে হয়। আইনজীবি সহকারী আঃ জব্বার বলেন, আমাদের বসার জায়গা নাই, পরিবেশ নাই। এমনকি ফরিয়াদী ও বিচারপ্রার্থী কারো বসার জায়গা নাই।

রোদের মধ্যে টেবিল দিয়ে আদালতের সামনের ছোট রাস্তায় বসে কাজ করি। বৃষ্টি নামলে আদালত ভবনে প্রবেশ করলে সেখান থেকে বের করে দেয়। ফলে অনেক সময় আমাদের কোট থেকে চলে যেতে হয়। এর কারনে বিচারপ্রার্থী আর ফরিয়াদীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

পটুয়াখালী জেলা আইনজীবি সমিতির প্রতিনিধি এ্যাড. হাবিবুর রহমান বলেন, পুরাতন ভবন জরাজীর্ন হয়ে পড়ায় আইন মন্ত্রনালয়ের অনুমতিক্রমে ভাড়া ভবনে চলছে বিচারিক কার্যক্রম। বিচারিক আদালতের নামে পুরাতন ভবনের স্থান বরাব্দ না থাকায় নতুন ভবন নির্মান কাজ বন্ধ রয়েছে।

মাননীয় জেলা জজের মাধ্যমে সংশ্লিস্ট জমি বরাব্দের জন্য আবেদন করেছি। আমাদের প্রত্যাশা, বিচারপ্রার্থীসহ আইজীবিদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে দ্রুত ভূমি মালিকানার জটিলতা নিরসন করে নতুন ভবন নির্মানে উদ্যোগ নেবে সংশিস্ট মন্ত্রনালয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451