ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ:
চাঞ্চল্যকর ঘটনা টি ঘটেছে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার দুধসর
আশ্রয় প্রকল্পের আবাসানে। জানা গেছে, শুক্রবার ঝিনাইদহের শৈলকুপার দুধসর
ইউনিয়নের আশ্রয় প্রকল্পের বসবাসরত বাবুলের মেয়ে সীমা (৩০) বেড়াতে
যায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহারাজ পুর ইউনিয়ের “দোকান ঘর” নামক
আশ্রয় আবাসান প্রকল্পের জৈনিক মহির বাড়িতে। পরের দিন দুধসর গ্রামের
নিরঞ্জন দাসের ছেলে শিপন (২৫) রহস্য জনক ভাবে সীমার অবস্থান করা
জৈনিক মহির একই বাড়িতে গিয়ে ওঠে এবং সেখানে তারা রাত্রি যাপন
করে। সকালে তাদের দেখে স্থানীয় জনতার সন্দেহ হয়। তাদের জিজ্ঞাসা বাদের
ফলে বেরিয়ে জানা যায় শিপন হিন্দুর ছেলে ও সীমা মুসলমানের মেয়ে, তখনই
দেখা দেয় বিপত্তি। তারা ঝিনাইদহের নলডাঙ্গা ক্যম্পের পুলিশ কে খবর দেয়।
খবর পেয়ে নলডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের এস আই রাশেদ সীমা ও শিপন কে জনতার
হাত থেকে উদ্ধ¦ার করে নলডাঙ্গা ক্যম্পে নিয়ে যায় ।
সীমার সাথে কথা বলে জানা যায় যে, এর আগে সীমার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ
উপজেলার সুইতলা মল্লিকপুর গ্রামের মনিরুল নামে এক ছেলের সাথে বিবাহ
হয়েছিল। তাহার সাথে তাহার একটি কন্যা সন্তান আছে। তবে এই ছেলে
শিপনের সাথে তার প্রায় ৪ মাস মধুর পরকিয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
“দোকান ঘর” আবাসনের মহির জানায় যে, সীমার ভাইয়ের সাথে আমার
মেয়ের প্রায় ১ মাস খানেক বিবাহ হয়েছে। সেই সুত্র ধরে মেয়ের সাথে
শুক্রবারে আমাদের বাড়িতে আসে। পরের দিন এই ছেলে শিপন আসলে সীমা
পরিচয় করিয়ে দেয় যে শিপন তার স্বামী এই হিসাবে। আমরা তাকে সেই
ভাবে আপ্যায়ন করি। পরে জানতে পারি যে, এই ছেলে শিপন উক্ত সীমার স্বামী
নয়। আমার মেয়ের কয়েক দিন বিবাহ হয়েছে সে কাউকে ভাল মত চেনে না।
তাছাড়া সীমা জানিয়েছে, শিপন আমার পূর্বের স্বামী। তাই আমরা
কিছু মনে করি নাই।
এই ব্যপারে নল ডাঙ্গা ক্যাম্পের এস আই রাশেদ জানায়, তাদেরকে আমি
গ্রেফতার করে ঝিনাইদহ সদর থানায় নিয়ে যাই। তারপর কি হয়েছে বলতে
পারি না।
ঝিনাইদহ সদর থানার আফিসার ইন চার্জ হাসান হাফিজুর রহমানের নিকট
জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ব্যাস্ততার কারনে বিষয় টা জানতে পারি
নাই। আমি বাইওে আছি,থানাতে না গেলে কিছুই বলতে পারছি