জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘বিভাগ উন্নয়ন ফি’ বাতিলের দাবিতে অগ্রণী ব্যাংক অবরোধ করে রেখেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে আন্দোলনকারীরা অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টাকা জমা দিতে না পেরে ভর্তি হতে পারছেন না প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। ব্যাংকের সামনে ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) মোহাম্মদ আলী ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। অবরোধ তুলে নিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের অনুরোধ করলে তারা এতে অস্বীকৃতি জানান। এই ফি সম্পূর্ণ বাতিল করা না হলে লাগাতার অবরোধ চালিয়ে যাওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
জাবি শাখা ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি মাসুক হেলাল অনিক বলেন, ‘১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশে বলা আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রসিদ ব্যতীত অন্য কোনোভাবে কোনো ধরনের টাকা আদায় করা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফির বাইরে বিভাগগুলো নিজেদের খেয়ালখুশিমতো এ ফি আদায় করে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় এ ধরনের অবৈধ কাজ চলতে দেওয়া হবে না।’
ছাত্র ইউনিয়নের জাবি শাখার সেক্রেটারি আবিদ সরকার সোহাগ জানান, ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রি থেকে আয়ের ৪০ শতাংশ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে জমা দেওয়ার যে নির্দেশনা ইউজিসির রয়েছে, সেটি কার্যকর করা হলেই এভাবে অবৈধভাবে উন্নয়ন ফি আদায় করতে হয় না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এ টাকা কোষাগারে জমা না দিয়ে প্রতিবছর নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নিয়ে নেন। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক।’
জাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসিদে উন্নয়ন ফির বাইরে বিভাগগুলো আরো একটি উন্নয়ন ফি আদায় করেন প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। আন্দোলনকারীরা বলছেন, এটি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে আদায় করা হচ্ছে।
এর আগে বিগত বছরগুলোতে বর্ধিত বিভাগ উন্নয়ন ফি বাতিলের দাবি করে এলেও এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফির বাইরে বিভাগগুলোর অতিরিক্ত এ ফি আদায়কেই সম্পূর্ণ বাতিল করার দাবিতে অবরোধের ডাক দিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট। দুপুর ১২টায় এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলছিল। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছিল ছাত্রজোটের একটি প্রতিনিধিদলের।