আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সাহিত্যে এ বছর নোবেল পেলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক, সঙ্গীত শিল্পী ও গীতিকার রবার্ট অ্যালেন জিমারম্যান (বব ডিলান)। মার্কিন সঙ্গীতের ঐতিহ্যে কাব্যিক মূর্ছনা তৈরি করে তিনি এ পুরস্কার জিতে নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বেলা ১টায় সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে সুইডিশ একাডেমিতে এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। সুইডিশ একাডেমির স্থায়ী সচিব অধ্যাপক সারা দানিউস পুরস্কারটি ঘোষণা করেন।
আসছে ১০ ডিসেম্বর স্টকহোমে ডিলানের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেয়া হবে পুরস্কারের ৮০ লাখ ক্রোনার।
প্রায় পাঁচ দশক ধরে দেশের সঙ্গীতজগৎকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার কাজ করছেন এ মার্কিন গায়ক, গীতিকার, শিল্পী এবং লেখক। ১৯৪১ সালের ২৪ মে মিনেসোটার ডুলুথে তার জন্ম। মধ্যবিত্ত এক পরিবার থেকে উঠে আসা বব ডিলানের প্রথম অ্যালবামের নাম ছিল ‘বব ডিলান’। ১৯৬২ সালে প্রকাশিত এ অ্যালবামিটই মোড় ঘুড়িয়ে দেয় ক্লাব ও ক্যাফেতে গান গেয়ে চলা ডিলানের জীবন।
এরপর ধীরে ধীরে অনেকগুলো অ্যালবাম বাজারে এসেছে তার, যেগুলো তৎকালীন প্রচলিত সঙ্গীতের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এর মধ্যে ‘ব্রিংইং ইট অল ব্যাক হোম’ (১৯৬৫) ‘হাইওয়ে রিভিজিটেড’ (১৯৬৫), ‘ব্লন্ডি অন ব্লন্ডি’ (১৯৬৬), ‘ওহ মার্সি’ (১৯৮৯), ‘টাইম আউট অব মাইন্ড’ (১৯৯৭) এবং ‘মডার্ন টাইম’ (২০০৬) অন্যতম।
১৯৬৭ সালে বব ডিলানের জীবন নিয়ে পরিচালক ডি এ পেনিবেকার নির্মাণ করেন ‘ডোন্ট লুক ব্যাক’ নামে একটি ডকুমেন্টারি। মানুষের সামাজিক অবস্থান, ধর্ম, রাজনীতি এবং ভালোবাসা নিয়ে অসংখ্য গান রচনা করেছেন বব ডিলান।
ফোক রকের কথা বললেই বব ডিলানের নামটা চলে আসে। তিনি আমেরিকান লোকগীতি ও কান্ট্রি, ব্লুজ থেকে রক অ্যান্ড রোল, ইংরেজ, স্কটিশ, আইরিশ লোকগীতি, এমনকি জ্যাজ, ব্রডওয়ে, হার্ড রক এবং গসপেলও গেয়েছেন।