রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

তাহিরপুরে একটি সেতুর অভাবে হচ্ছে না দুটি উপজেলার সেতু বন্ধ

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৬
  • ৪১২ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

 

জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া,সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জের মিয়ারচর নদীর উপর একটি মাত্র সেতুর অভাবে

তাহিরপুর ও বিশ্বাম্ভরপুর দুটি উপজেলার সংযোগ সৃষ্টি হচ্ছে না।

এছাড়াও পাশ্বভর্তি মধ্যনগড় থানা ও ধর্মপাশা উপজেলার লক্ষ লক্ষ

জনসাধারন সীমান্ত এলাকা বাগলী,চারাগাওঁ,বড়ছড়া দিয়ে

বাদাঘাট বাজার দিয়ে মিয়ারচর নদী পাড় হয়ে সুনামগঞ্জ জেলা

সদরে যোগাযোগ সহজ হত। তাহিরপুর উপজেলার ব্যবসা

বানিজ্যের প্রান কেন্দ্র বাদাঘাট ইউনিয়নের মিয়ারচর নদীতে

সেতু তৈরি করা হলে চরম দূভোর্গ থেকে রক্ষা পেত ৪টি উপজেলা

৫লক্ষাধিক জনসাধারন। সেতু না থাকায় এ নদী পাড় হতে র্দীঘ

সময় নষ্ট করে ও জীবনের যুকিঁ নিয়ে নৌকা দিয়ে পারাপাড় হচ্ছে

সর্বস্থরের লোকজন। প্রায়ই এ নদী পাড় হতে গিয়ে নৌ-দূর্ঘটনা

শিকার হয় স্কুল,কলেজের ছাত্র-ছাত্রী,বিভিন্ন প্রতিষ্টানের

চাকুরীজীবি,ব্যবসায়ী গন। এ নদী পারাপড়ের জন্য ব্যবহৃত হয়

একটি মাত্র নৌকা। আর এ নৌকা দিয়েই জনসাধারনের পাশা-

পাশি বাইসাইকেল,মটরসাইকেল,ঠেলাগাড়ি,ভেনগাড়ি ও অন্যান্য

যানবাহন পারাপার হচ্ছে এক সাথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। যেন

দেখার কেউ নেই। বাদাঘাট ইউনিয়ন থেকে সুনামগঞ্জ জেলার

সদরের দূরত্ব ৩৫কিঃ মিঃ আর যোগাযোগের একমাত্র সড়ক হল

বাদাঘাট-মিয়ারচর-বিশ্বাম্ভরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক। এ সড়কে

সেতু না থাকায় উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী

বিশ্বাম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিন বাদাঘাট ইউনিয়নের ৭০টি গ্রামের

হাজার হাজর জনসাধারনের জীবন যাত্রার মান থমকে যাচ্ছে।

অবহেলিত তাহিরপুর উপজেলার ৭টি বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন গুলোর

মধ্যে ব্যবসার-বানিজ্যের প্রান কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত বাদাঘাট

বাজার। বাদাঘাট বাজারে আসার জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার

লোকজনের পদচারনায় মুখরিত হয় মিয়ারচর নদীটি। এছাড়াও

বাদাঘাট-সুনামগঞ্জ সড়ক দিয়ে মিয়ারচর নদী পাড় হয়ে সারা বছর

জেলা সদর,পাশ্বভর্তি বিশ্বাম্ভরপুর উপজেলা ও তাহিরপুর উপজেলার

বাদাঘাট,উত্তর বড়দল,দক্ষিন বড়দল,উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন ও মধ্যনগড়

থানা ও ধর্মপাশা উপজেলার হাজার হাজার হাজার জনসাধারন

যোগাযোগ করে থাকে। বাদাঘাট ইউনিয়নের অধিকাংশ

কৃষক,সবজি চাষীরা তাদের উৎপাদিত পন্য সামগ্রী বেচা কেনার

জেলা সদরে,পাশ্ববর্তি বিশ্বাম্ভরপুর বাজার,তাহিরপুর সদর আসা

যাওয়া করতে পারছে না নদীতে ব্রীজ না থাকায়। আসা-যাওয়া করতে

গেলে যাতায়াত খরচের পরিমান বেড়ে যাওয়ার ফলে ব্যবসায়ী ও

কৃষকদের কষ্টার্জিত ফসল বিক্রি করে লাভবান হতে পারছেন না। এই

সুযোগে জেলা পরিষদ থেকে লীজ নিয়ে মটর

সাইকেল,ঠেলাগাড়ি,ভেনগাড়ি নৌকা দিয়ে পারাপার করছে

ইজারাদার। এই সেতুটি নির্মান হলে তাহিরপুর উপজেলার

বাদাঘাট বাজারের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে।

এছাড়াও জেলা সদর,পাশ্ববর্তি উপজেলা দাবী অনুযায়ী মিয়ারচর

নদীর উপর সর্বস্তরের জনসাধারন একটি ব্রীজ নির্মানের র্দীঘ

দিনের দাবী জানিয়ে আসলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন প্রয়োজনীয়

ব্যবস্থা নিচ্ছে না। যার ফলে এলাকাবাসীর মাঝে র্দীঘ দিনের ক্ষোভ

বিরাজ করছে। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী,সমাজ সেবক আবু

সায়েম,সুজাত মিয়া,ব্যবসায়ী রাশিদ

ভূঁইয়া,মামুন,জয়নাল,সোহাগ মিয়া,শিক্ষক সিদ্দিকুর

রহমান,স্থানীয় এলাকাবাসী,ছাত্রছাত্রী ও কৃষকগন জানান-মিয়ারচর

নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মান হলে এলাকার সর্বস্তরের

জনসাধারন,ব্যবসা-বানিজ্য করা ও চলাচলের পথ সুগম হবে

ভোগান্তি থেকেও মুক্তিপাবে। বাদাঘাট ইউনিয়নের নব

নির্বাচিত চেয়ারম্যান আপ্তাব উদ্দিন বলেন,আমি এবার

নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছি আমি জনগনের ভোটেই নির্বাচিত

হয়েছি তাদের সুবিধার স্বার্থে মিয়ারচর নদীতে ব্রীজ সহ সব

বিষয়েই আমি সর্বাতœক চেষ্টা করব। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান

কামরুজ্জামান কামরুল ও বিশ্বাম্ভরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান

হারুনর রশিদ বলেন-মিয়ারচড় নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মান করা

হলে জেলা সদর,বিশ্বাম্ভরপুর উপজেলার সাথে সহজে জনসাধারনের

চলাচলের সুবিধা এবং ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে। তাই সংশ্লিষ্ট

কতৃপক্ষ এ বিষয়ে গুরুত্বের সাথে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেওয়া

প্রয়োজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451