মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০১:৩৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
রিয়াদ-হৃদয়ের ব্যাটে চড়ে সহজ জয় টাইগারদের প্রবাস ফেরত স্ত্রীকে হত্যার পর রক্তাক্ত দা নিয়ে থানায় স্বামী পুড়ছে সুন্দরবন : সর্বশেষ যা জানাল ফায়ার সার্ভিস কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাইয়ের মনোনয়ন বাতিল আল জাজিরার ব্যুরো অফিসে ইসরায়েলি পুলিশের অভিযান ১৫০ উপজেলায় ৩ দিন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, ১০ জেলায় সতর্কতা জারি গুগলকে তিন হাজার কনটেন্ট সরাতে অনুরোধ বাংলাদেশের মুফতি মাহাদী হাসান সাভার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিরব ভোট বিপ্লবে বিজয়ী হওয়ার আশাবাদী রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাকিবুল হাসান মাসুদ

ঝিনাইদহে সাপের ভয় দেখিয়ে প্রতারণা আতংকে নিরুপায় পথচারিরা !

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
  • ১৭৬ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ

ঝিনাইদহ শহরজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৬/৭ জন অপ্রাপ্ত বয়সের বেদে

সম্প্রদায়ের মেয়ে। বয়স তাদের কতই বা হবে? বড় জোর ১৩ থেকে ১৬। এই
ভয়
বয়সে ওদের বিয়ে হয়েছে। কারো সাথে বাচ্চা আবার কেও গর্ভবতি। পরনে

ময়লা শাড়ি আর সেলোয়ার কামিজ পরা।

দল বেধে ছুটছে ওরা। টার্গেট গ্রাম থেকে আসা কলেজ পড়–য়া ছেলে বা

মেয়ে। কাঠের ছোট বাক্সের মধ্য থেকে সাপের মাথা বের করে আছে।

আগন্তুকের সামনে এগিয়ে ধরছে সেটি। অমনি ভয়ে চমকে উঠছে। এরপর পথ

আগলে দাবী করা হচ্ছে টাকা। চাহিদা মতো টাকা না দেওয়া হলে ছেলেদের

সার্ট আর মেয়েদের ওড়না টেনে ধরা হচ্ছে।

ছোট কাঠের বাক্সে সাপ নিয়ে চাঁদাবাজি নতুন নয়, কিন্তু বর্তমানে তা

চরম পর্যায়ে পৌচেছে। পথচারী ও শহরবাসি সাপের ভয়ে ও ইজ্জত বাঁচাতে

চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছে।

শহরের পায়রা চত্বর, মুন্সি মার্কেট, পোষ্ট অফিসের মোড় ও ১০ তলার সামনে

সবচে বেশি এদের আনাগোনা। ৬/৭ জনের দল বেঁধে এরা চাঁদাবাজি করে।

লোক বুঝে ৫ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করছে।

টহল পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের সামনেই গতকাল সোমবার একাধিক ব্যক্তির

কাছ থেকে টাকা নিতে দেখা গেছে। প্রথমে টাকা চেয়ে না পেলে সাপ

বের করে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা হয়।

ঝিনাইদহ শহরের ধোপাঘাটা ব্রীজের নিচে এসব বেদের বহর ঝুপরি করে দল

বেঁধে বসবাস করে। এদের ঝুপরিতে মাদক থেকে টিভি ও আধুনিক সকল

সুবিধা আছে।

এসব যাযাবর বেদেদের মূল আবাস সাভার ও নাটোরের সিংড়ায়। এসব বেদে

মেয়ের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, প্রতিদিন তারা ৫/৬’শ টাকা আয়

করে। পুরষ ছেলেরা বাড়ি আরাম করে আর স্ত্রীরা শহর চষে বেড়ায়এসব পরিবারের

নিজ এলাকায় পাকা ঘরবাড়ি জমি ও ব্যাংকে টাকাও মজুদ আছে।

এটা তাদের পেশা। আগে বেদে পরিবারের পুরুষ নারী সদস্যরা সাপ খেলা সাপের

ওষুধ বিক্রি সিঙ্গা লাগানো বাতের চিকিৎসা দেওয়ার নামে গ্রামের সহজ-

সরল মহিলাদের কাছ থেকে টাকা, চাল, মুরগি খাবার আদায় করত।

এখন মানুষ সচেতন হওয়ায় এসব প্রতারণা ব্যবসা ও ভুয়া চিকিৎসা ও

ওঝাগিরি করতে পারে না। এখন তারা ছোট সাপ দেখিয়ে শহরের বিভিন্ন

পয়েন্টে দাঁড়িয়ে জোর পুর্বক টাকা আদায় করে থাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451