বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০২:০৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

শিশুদের জন্য সুন্দর ও শান্তিময় আবাস নির্মাণে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান

অনলাইন ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২ মার্চ, ২০২১
  • ১৯৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের শিশুদের জন্য সুন্দর ও শান্তিময় আবাসস্থল নির্মাণে সবাইকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতার এই ৫০ বছরে আমাদের শিশুদের জন্য কি সত্যিকার অর্থে একটা ভালোবাসার দেশ, একটা প্রেমের দেশ, একটা স্বপ্নের দেশ নির্মাণ করতে পেরেছি? তখন নিজের কাছে একটা ঘৃণা আসে, ধিক্কার আসে যে না আমরা সেটা করতে পারিনি। আমরা আমাদের শিশুদের জন্য সেই আবাসস্থল তৈরি করতে পারিনি যেখানে তারা নিরাপদে গড়ে উঠবে মানুষের মতো। সেখানে সত্যিকার অর্থেই ভালোবাসা, শান্তিময় একটা জগত তৈরি করা সম্ভব হবে।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে জিয়া শিশু একাডেমির উদ্যোগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১১তম জাতীয় শিশু শিল্পী প্রতিযোগিতা ‘শাপলাকুঁড়ি-২০১৯’-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সবার কাছে আমার আহ্বান থাকবে যে, আসুন আমরা সবাই মিলে উদ্যোগ নেই, চেষ্টা করি যে, আমরা আমাদের শিশুদের জন্যে একটা সত্যিকার অর্থেই একটা শান্তিময় নিরাপদ একটা পৃথিবী গড়ে তুলি, একটা জগত গড়ে তুলি। আসুন আমরা সবাই মিলে এই বাংলাদেশটাকে সত্যিকার অর্থেই হাসি-গান আর ফু্লের একটা দেশ বানিয়ে তুলি। এটাই হোক আমাদের লক্ষ্য।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে। আমরা কিছু পরে হয়ত পৃথিবী ছেড়ে চলে যাব। এই সময়ে কোভিডের মধ্যে আমাদের অনেক বহুগুণী মানুষ চলেও গেছেন। আমরা দেখে যেতে চাই সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশ শিশুদের জন্যে সুন্দর, ন্যায়ভিত্তিক, সত্যভিত্তিক জগত আমরা তৈরি করতে পেরেছি, আনন্দময়-প্রেমময়। তোমাদের মধ্যেই আমাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পাই।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বার বার করে আমার মনে হয় যে, শিশুদের জন্য আবাসস্থল না করতে পারায় দায় আমাদের। আমরা যারা এদেশ স্বাধীন করেছিলাম, লড়াই করে যুদ্ধ করে, আমরা যারা কথা দিয়েছিলাম যে, এই দেশ একটা গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করব, এই সমাজকে, এই রাষ্ট্রকে আমরা সহনশীল, উদার একটা রাষ্ট্র গঠন করব। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য পুরোপুরিভাবে সেটা আমরা করতে পারিনি। আমরা নিজেদের মধ্যে দলাদলি করেছি, কোন্দল করেছি, বিভক্ত হয়েছি।’

একাত্তরের স্বাধীনতার স্মৃতিচারণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন,  ‘এই বছর আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূরণের বছর, এই মাসটা স্বাধীনতার মাস। এই মাসে বাংলাদেশের মানুষেরা আমরা নিজেদের মুক্ত করার জন্যে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর হাত থেকে, আমরা যুদ্ধে নেমেছিলাম। সত্যিকার অর্থে যুদ্ধ কিন্তু। কোনো খেলা খেলা যুদ্ধ নয়। এখন সময় এসেছে আমাদের, এই ৫০ বছরে আমরা কী পেয়েছি আর কী দিয়েছি?’

শিশুদের উন্নয়ন ও বিকাশে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নানা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে টেলিভিশনে ‘নতুনকুঁড়ি’ অনুষ্ঠান চালুর কথাও তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল নতুনকুঁড়ি অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে অনেক অনেক শিল্পী নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। আমি জানি অনেকে রাজনীতি অঙ্গনে গিয়ে মন্ত্রীও হয়েছেন। এটা যখন বন্ধ হয়ে যায়, তারপরেই জিয়া শিশু একাডেমি শাপলাকুঁড়ি প্রতিযোগিতা শুরু করে।

এই শিশু প্রতিযোগিতায় সারা দেশে ২২ হাজার খুদে শিল্পী বাছাই পর্বে অংশ নেয়। চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ হয় ৪৭৬ জন।

অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শিক্ষায় অধ্যক্ষ সেলিনা আখতার, স্বাস্থ্যসেবায় অধ্যাপক হাসিনা আফরোজ, সংগীতে এএসএম শফি মন্ডল, শিল্পায়নে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, প্রবাসী কল্যাণে খান মনিরুল মনি, জনপ্রতিনিধি মনিরুল আলম সেন্টু ও আদর্শ মা মৌসুমি সাহাকে ‘কমলপদক-২০২০’ দেওয়া হয়।

সংগঠনের নির্বাহী মহাপরিচালক এম হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে এবং মাশুক সিদ্দিকী ও নওশিন রথির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে একাডেমির পৃষ্ঠপোষক এলবার্ট পি কস্টা, কণ্ঠশিল্পী খুরশীদ আলম, জিনাত রেহানা, সামিনা আখতার সম্পা ও সুলতানা জামান জ্যোস্না বক্তব্য দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451