আব্দুর রহিম পলাশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর অঞ্চল সমূহ গুলোতে দিন দিন
অধিক হারে বেড়েই চলেছে ইজি বাইক ও অটো রিক্সার সংখ্যা। অটোরিক্স
নিজের জীবন কিংবা অন্য যানবাহনের কোন তোয়াক্কা না করে নিজেদের
মধ্যে পাল্লা-পাল্লা দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শহরের সকল রাস্তাগুলোতে।
তাদের এমন দৌরাত্মে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জেলার সাধারণ মানুষ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার পুরাতন বাজার, হাসপাতাল রোড, শান্তি
মোড়, নিউ মার্কেট, কোর্ট-বাগান রোড, উদয়ন মোড়,
বিশ্বরোডসহ বিভিন্ন ব্যস্ততম পৌর এলাকার চারদিকে রাস্তাজুড়ে শুধুই
ইজি বাইক ব্যাটারিচালিত ছোট রিক্সার সারি নিত্য দিনের। এ দুটি
যানের চাপে রাস্তায় পা ফেলার জায়গা থাকেনা। ভোগান্তিতে পড়ছে স্কুল
কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজারো পথচারী।
তবে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে নয়, বলা যায় দিন-রাতের বেশির ভাগ সময়
এমন জট লেগে থাকছে পৌর এলাকার ব্যাস্ততম সড়ক গুলোতে। আর এর
তিব্র আকার ধারণ করে স্কুল কলেজ ছুটির সময়। এ এর মধ্যে হরিমোহন
স্কুল রোড, গালর্স স্কুলের সামনে অথাৎ ক্লাব সুপার মার্কেট এর
সামন দিক, সরকারি কলেজ রোড, নিউ মার্কেট, শান্তি মোড়, পুরাতন
বাজার এলাকার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। জনবহুল এসব এলাকায় কাকডাকা
ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লেগেই থাকছে ইজিবাইকের জট। সেই
জটে পড়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ পথচারীসহ স্কুল-
কলেজের শিক্ষার্থীদের। এসব যানবাহন সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে
হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশকে। তার পরেও এসব অটোরিক্সার বন্ধের কোন
উদ্যোগ নেই কারও। এতে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে ব্যাটারি চালিত
ইজি বাইক ও রিকশার সংখ্যা। বর্তমান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাতে মোট
অটোরিক্সার সংখ্যা ১৫,০০০ (পনেরো) হাজার প্রায়। হরিমোহন স্কুলের
ছাত্র অভি জানান, ‘স্কুল থেকে বর হলেই যেন অটোরিক্সার জ্যামে পড়তে
হয়। ঠিকমতো পা ফেলারও সুযোগ পাওয়া যায় না। এছাড়া অটো রিকশার
যানযটে সাইকেল নিয়েও চলাচল করা যায়না। অনুসন্ধানে জানা গেছে,
ব্যাটারিচালিত এসব অটোরিক্সার দুটি শ্রেণিতে ভাগ হয়ে গোটা
জেলায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। অধিকাংশেরই নেই নাম্বার প্লেট। এসব
যানবাহনের নেই কোন রেজিষ্ট্রেশন। নেই কোন চালকের প্রশিক্ষণ সনদ।
অতীত তথ্য মতে জানা যায়, ২০১০ সাল থেকে প্রথম চাঁপাইনবাবগঞ্জ
শহরে চলাচল শুরু হয়। এর পর থেকে জেলায় বেড়েই চলেছে ইজিবাইক ও
অটোরিক্সার সংখ্যা। অলিগলি থেকে শুরু করে মহাসড়কে দেদারসে চলে
এসব ছোট ছোট যানবাহন। দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ জেলাবাসী। অটো ও
ইজিবাইক বেড়ে যাওযার কারণে দুর্ঘটনার সংখ্যাও বাড়ছে দিন দিন।