মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ১২:১২ পূর্বাহ্ন

কলাপাড়ার সাব-রেজিস্ট্রার অফিস দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৭
  • ৩৬২ বার পড়া হয়েছে

আতিকুল ইসলাম দিপু, কলাপাড়া প্রতিনিধি :
দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে কলাপাড়া সাব-রেজিস্ট্রার অফিস। বেপরোয়া সাব-রেজিস্ট্রার ফজলে রাব্বি। বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছেন অনৈতিক কর্মকান্ড। এ যেন দেখার কেউ নেই।অনুসন্ধানে জানা যায়, বর্তমান সরকার পটুয়াখালী জেলায় কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র, কলাপাড়ায় পায়রাবন্দর ও পায়রা তাপবিদ্যুত কেন্দ্রসহ ব্যাপক উন্নয়নের পরিকল্পনা হাতে নেয়ায় হুর হুর করে বেড়ে যায় জমির দাম। আর পাল্লা দিয়ে চলছে জমি-জমা কেনা-বেচা। ঠিক এই মুহুর্তে আইজিআর অফিসের ক্লার্ক মো. ফজলে রাব্বী কৌশলে সাব-রেজিস্ট্রার পদ লাভ করে অবৈধ যোগাযোগে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন পটুয়াখালীর কলাপাড়াসহ ৪ উপজেলার। তিনি কলাপাড়ায় অফিস করেন বুধবার ও বৃহস্পতিবার। অভিযোগ রয়েছে তিনি সপ্তাহে ২ দিন করে মাসে ৮ দিন দলিল রেজিস্ট্রি করে নানা কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। সরকারি নিয়ম-কানুন না মেনে কম মূল্য ও জমা খারিজ ব্যতীত প্রতিদিন অসংখ্য দলিল রেজিস্ট্রি করায় সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমান রাজস্ব। আর জমি ক্রয়-বিক্রয় করতে আসা ব্যক্তিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছেন তার দুর্নীতির সহযোগী ওই অফিসের মিজানুর রহমান ও নিজাম উদ্দিন।কলাপাড়ার কতিপয় দলিল লেখক জানান, সরকারী রেজিস্ট্রি ফি শতকরা ৯ ভাগ কিন্তু অফিসে দিতে হচ্ছে ১৩ ভাগ। কোন কোন দলিলের ক্ষেত্রে ১৮ ভাগ পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। দাখিলা ও সহিমোহর পর্চা না থাকলে প্রত্যেকটিতে দিতে হয় ৫শত টাকা করে। আর সাব-রেজিস্ট্রারকে লাখ প্রতি অতিরিক্ত দিতে হয় ২ ভাগ। অপরদিকে দুমকি ও দশমিনা উপজেলায় একই নিয়মে ফজলে রাব্বি চালিয়ে যাচ্ছেন তার অনৈতিক কর্মকান্ড।এ বিষয়ে সাব রেজিস্ট্রারমো. ফজলে রাব্বি’র কাছে জানতে চাইলে তিনি কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে মিটিংয়ে আছেন জানিয়ে মির্জাগঞ্জের এক সাংবাদিকের সাথে যোগাযোগ করতে বলে ফোনটি কেটে দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451