হেলাল শেখঃ
ঢাকার সাভার আশুলিয়াসহ বিভিন্ন মৎস্য আড়ৎ ও হাট-বাজারে বর্তমানে অনেকটা জাটকা ইলিশ মাছ
বিক্রি কমেছে। গত ২ মাস ধরে “বাংলার প্রতিদিন পত্রিকাসহ কয়েকটি জাতীয় সংবাদপত্রে সংবাদ শিরোনাম
হয়, “বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে জাটকা” কোনো ভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না জাটকা বিক্রি” আগামী
৩০ জুন পর্যন্ত জাটকার অভিযান চলবে” এর পর প্রতি সপ্তাহের প্রায় পাঁচ দিনই জেলা ও উপজেলা মৎস্য
কর্মকর্তাগণ অভিযান পরিচালনা করেন।
বিশেষ করে জাটকা ধরা ও বিক্রি করা, আমদানী রপ্তানি ও মজুদ করা সরকারি ভাবে নিষেধ থাকলেও এখনো
পুরোপুরি ভাবে বন্ধ হয়নি ক্রয়-বিক্রয়। সোনালী ইলিশ দেশের সম্পদ।যেখানে সেখানে হাট-বাজারে পাওয়া
যাচ্ছিল জাটকা ইলিশ মাছ। গত বছরে সরকারি ভাবে বিশেষ অভিযানে লাখ লাখ টাকার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে
দেওয়া হয় এবং কয়েকজন ব্যক্তিকে সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। জানা গেছে, গত ২০ বছরে এতো বেশি
পরিমান ইলিশ মাছ বাজারে দেখা যায়নি, যা মানুষ এখনও বাজারে কম দামে পাচ্ছেন ইলিশ মাছ।
রবিবার সকালে ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইলসহ বিভিন্ন মৎস্য আড়ৎ ও বাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে,
জাটকা বিক্রি অনেকটা কমেছে। যদিও কয়েকজনের কাছে কিছু জাটকা দেখা গেছে, তবে আগের তুলনায়
অনেক কম জাটকা বিক্রি হচ্ছে। অনেকেই বলছেন যে,মাছ ব্যবসায়ীরা অনেকটা সচেতন হয়েছেন। জানা
গেছে, ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০১৭ইং সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ৮ মাসব্যাপী সারা দেশে জাটকা ধরা,
পরিবহণ, ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদ রাখা আইনত দ-নীয় অপরাধ। মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, এ আইন
অমান্যকারীকে ১ থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদ- অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা,
অথবা উভয়দ-ে দ-িত করার বিধান রয়েছে।
উক্ত বিষয়ে সাভার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোছাঃ ফারহানা বলেন, অভিযান চলছে জাটকার বিষয়ে আমরা
আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, ১০ ইঞ্চির নিচে ইলিশের জাটকা পেলেই জব্দ করা হচ্ছে এবং জাটকা যার
কাছে পাওয়া যাবে তাকেই জেল জরিমানা করা হবে। আমাদের অভিযান চলছে প্রতিদিনই। আপনারা সবাই
আমাদের সহযোগিতা করবেন, যে হাট-বাজারে ও মৎস্য আড়তে জাটকা দেখবেন ধরে রেখে খবর দিবেন আমরা
তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।