শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১২:১৪ অপরাহ্ন

প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস মুখ ও দাঁতের ক্ষতি করছে!

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৭
  • ২৬৮ বার পড়া হয়েছে

আপনি কী দাঁত দিয়ে পেন্সিল কামড়ান? লাঞ্চের সময় সফট ড্রিংক পান করেন? বরফ কামড়ে খান? প্রাত্যহিক এই অভ্যাসগুলো অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। কিন্তু এই অভ্যাসগুলো আপনার অজান্তেই আপনার মুখের স্বাস্থ্যের ও দাঁতের ক্ষতি করছে। এমনই আরো কিছু অভ্যাসের কথাই আজ আমরা জানবো।

১। টুথপিক ব্যবহার করা

দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে থাকা খুবই অস্বস্তিকর হয় বলে এর থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য অনেকেই টুথপিক ব্যবহার করেন। যদি আপনার দাঁতে ছিদ্র থাকে তাহলে তা ঠিক করার ব্যবস্থা করুন। টুথপিক ব্যবহার করলে দাঁতের এই ছিদ্রে ইনফেকশন হতে পারে বা ছিদ্রটি আরো বড় হয়ে যেতে পারে। এর ফলে ব্যথা আরো বৃদ্ধি পায়। তাই টুথপিক ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। এর পরিবর্তে দাঁতের ভেতর আটকে থাকা খাবার বের করার জন্য ফ্লস বা ব্রাশ ব্যবহার করুন।

২। শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করা

শক্ত বা মাঝারি শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করলে দাঁতের মাড়ি ও মুখের ভেতরের অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।টুথব্রাশের ব্রিসল নরম হলে দাঁতের ফাঁকে প্রবেশ করে এবং খুব সহজেই বাঁকানো যায় বলে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করা যায়। তাই শক্ত ব্রাশের পরিবর্তে নরম ব্রাশ ব্যবহার করুন।

৩। দাঁতের স্ক্রাবিং করা

দাঁত মাজার সময় খুব বেশী চাপ দিয়ে ব্রাশ করা উচিৎ নয়। এতে দাঁতের ও মাড়ির ক্ষতি হতে পারে। খুব বেশী ঘষাঘষি করলে দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্তপাত হতে পারে। তাই ব্রাশ করুন গ্লাস পরিষ্কার করার মতোই মধ্যম চাপে।

৪। রাতে দাঁত ব্রাশ না করা

দাঁতের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকার একটি সহজ উপায় হচ্ছে রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করা। প্রতি ১২ ঘন্টা পর পরই ব্যাকটেরিয়ার অ্যাটাক হয় মুখে। যার ফলে দাঁত ক্ষয় হয়। এই অবস্থাকে প্রতিহত করার জন্যই সকালে ও রাতে ব্রাশ করা জরুরী। কোন অবস্থাতেই রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করতে ভুলে যাবেন না।

৫। ব্যথানাশক ঔষধ সেবন করা

দাঁতের ব্যথার প্রাথমিক লক্ষণকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু যখন আর সহ্য করা সম্ভব হয়না তখন বেশিরভাগ মানুষই পেইন কিলার সেবন করেন। এতে হয়তো তাৎক্ষণিক ভাবে ব্যথা কমে যায় কিন্তু আসল সমস্যার সমাধান হয়না। অল্প ব্যথা থাকতেই আপনি যদি দন্ত চিকিৎসকের কাছে যান তাহলে হয়তো দাঁত পরিষ্কার (স্কেলিং) করলেই এই ব্যথা থেকে মুক্ত হতে পারেন। কিন্তু এই ব্যথা দীর্ঘদিন পুষে রাখলে দাঁতের আরো বেশী ক্ষতি হতে পারে এবং চিকিৎসার খরচের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে।

৬। কিছু ঘরোয়া প্রতিকার ক্ষতিকর হতে পারে

কিছু ঘরোয়া প্রতিকার দাঁতের সমস্যার ক্ষেত্রে উপকারী হলেও কিছু আবার দাঁতের ক্ষতিও করতে পারে। যেমন- অ্যাসপিরিন বা অন্য কোন ব্যথানাশক গুঁড়ো করে দাঁতের ফাঁকে ব্যবহার করলে পুড়ে যেতে পারে। তেমনি লবঙ্গের তেল উপকারী প্রতিকার হলেও লবঙ্গ ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এর সূক্ষ্ম প্রান্ত থাকে যার দ্বারা গালে ব্যথা পেতে পারেন।

এছাড়াও দাঁত কিড়মিড় করা, দাঁত দিয়ে শক্ত কৌটার মুখ খোলার চেষ্টা করা, চকলেট বা ক্যান্ডি খাওয়ার পরে কুলকুচি না করা, দাঁত দিয়ে নখ কামড়ানো ইত্যাদি কারণেও দাঁতের ক্ষতি হতে পারে।

 

সূত্র /HealthBarta

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451