আদালতে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ‘মশাল’ প্রতীক কোনো প্রার্থীকে বরাদ্দ না দিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) অনুরোধ জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) শরীফ নুরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন অংশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সিইসির কাছে এ-সংক্রান্ত আবেদন করেন জাসদের এই অংশের সভাপতি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন সামনে রেখে মশাল প্রতীক নিয়ে এই আবেদন করেন আম্বিয়া।
সিইসির কাছে পাঠানো চিঠিতে বৃহস্পতিবার আম্বিয়া বলেন, “আপনার ২৮ এপ্রিল ২০১৬ তারিখের পত্রের মাধ্যমে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদ-এর মশাল প্রতীকটি জনাব হাসানুল হক ইনু ও শিরীন আক্তার-এর নেতৃত্বাধীন জাসদ অংশকে বরাদ্দে ক্ষুব্ধ হয়ে জনাব শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধান এমপি নেতৃত্বাধীন জাসদ অংশ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট নং ১২২৮০/২০১৬ দাখিল করে শুনানিতে আপনাদের বিরুদ্ধে ২৮/০৯/২০১৬ তারিখে বিচারপতি জনাব ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি জনাব আশীষ রঞ্জন দাস-এর যৌথ বেঞ্চে রুল নিশি জারি করেছেন। উক্ত রুলটি চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ‘মশাল’ প্রতীকটি যেকোনো নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে বরাদ্দ না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।”
গত ১২ মার্চ সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে শিরীন আখতারকে সাধারণ সম্পাদক করা নিয়ে দুই ভাগ হয় জাসদ। হাসানুল হক ইনু ও শিরীনের কমিটির পাশাপাশি পাল্টা কমিটি গঠন করেন দলের জ্যেষ্ঠ তিন নেতা মইনউদ্দীন খান বাদল, শরীফ নুরুল আম্বিয়া, নাজমুল হক প্রধান ও তাঁদের অনুসারীরা।
দুই পক্ষের এই পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে ১৩ এপ্রিল ইনু-শিরীন নেতৃত্বাধীন জাসদকে মূলধারা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ২৮ এপ্রিল মশাল প্রতীক দেয় নির্বাচন কমিশন।
ইসির আইন শাখার কর্মকর্তারা জানান, রুলনিশির জবাব দেওয়ার বিষয়ে কমিশনের কাছে ফাইল উপস্থাপন করা হয়েছে।
সর্বশেষ দলীয়ভাবে ইউপি নির্বাচনেও ইনু-শিরীন নেতৃত্বাধীন জাসদের প্রার্থীরা মশাল প্রতীক পেয়েছেন। রুলনিশির পর পরবর্তী বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
আগামী ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন জমার শেষ সময় ২৪ নভেম্বর এবং প্রত্যাহারের শেষ সময় ৪ ডিসেম্বর রাখা হয়েছে। ৫ ডিসেম্বর হবে প্রতীক বরাদ্দ।