শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন

মোবাইল ফোনের অসহনীয় কলড্রপ, গণশুনানি করতে যাচ্ছে বিটিআরসি

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৬
  • ১৬৭ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা ঃ অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে মোবাইল ফোনের কলড্রপ। প্রতিদিন দেড় কোটি মিনিট কলড্রপ হচ্ছে, এমন জানালেও মোবাইল ফোন আপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব বলছে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এই হার গ্রহণযোগ্য।

ক্ষতিপূরণে সরকারের নির্দেশ থাকলেও তা পাচ্ছে না গ্রাহক। টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, কলড্রপের ফলে এক মিনিট হিসেবে দৈনিক দেড় কোটি টাকা, আর বছরে গ্রাহকের ক্ষতি প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা। এ ইস্যুতে টেলিযোগাযোগের নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আগামী ২২ নভেম্বর আয়োজন করতে যাচ্ছে গণশুনানির।

বিটিআরসির সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশে সক্রিয় মোবাইল ফোন গ্রাহকসংখ্যা ১২ কোটি। আর অ্যামটবের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটর দিয়ে প্রতিদিন মোট কলের সংখ্যা ১৬০ কোটি মিনিট। তাতে কলড্রপ হচ্ছে মাত্র ১ শতাংশ অর্থাৎ এক কোটি ৬০ লাখ মিনিট। কলড্রপে অতিষ্ঠ হয়ে মন্ত্রীরাও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন। ক্ষতিপূরণসহ গেল বছরের জুন মাস থেকে এর সমস্যা সমাধানের সময়সীমা বেঁধে দিলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি। উল্টো কলড্রপ বেড়েছে বলে অভিযোগ ভোগান্তির শিকার গ্রাহকদের।

কলড্রপের এই হার আন্তর্জাতিক সীমারেখা ৩ শতাংশ অতিক্রম করেনি জানিয়ে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) জন্য কিছু কারিগরি সমস্যাকে দায়ী করেছেন।

অ্যামটবের মহাসচিব নুরুল কবির বলেন, ‘সব জায়গার কানেক্টিভিটি বা কানেকশনস একরকম নাও থাকতে পারে। ফাইবারের কারণে অনেক সময় কাটা পড়ছে। এবং আবহাওয়াও অনেক সময় রেডিও কমিউনিকেশনকে বাধাগ্রস্ত করছে।’

অ্যামটবের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফাইবার কাটা গেলে কোনো কলই করা যেত না। কাজেই এ দাবি অগ্রহণযোগ্য। পাশাপাশি এর ফলে গ্রাহকদের আর্থিক ক্ষতি ফেরত দেওয়ার দাবি জানান টেলিযোগাযোগের অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মাহবুব আলী।

মাহবুব আলী বলেন, ‘ইকোনমিক ভ্যালু অ্যাডের (মূল্য বাড়ানো) বদলে এখান থেকে চলে যাচ্ছে প্রতি মাসে প্রায় ৫০ কোটি টাকা, বছরে যেটা হচ্ছে ৬০০ কোটি টাকার মতো। এখানে একধরনের অলিগোপলিস্টিক নেচারের (মুষ্টিমেয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রতিযোগিতা) অবস্থা বিরাজ করছে। কোনো ট্রান্সেপারেন্সি তাদের ফান্ডে নেই।’

অন্যদিকে বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলছেন, মোবাইল ফোনের সেবা নিয়ে অভিযোগ জানতে এবার তাঁরা সরাসরি যাচ্ছেন গ্রাহকদের কাছে।

ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘কাস্টমারকে সার্ভ (সেবা) করার মতো এনাফ (পর্যাপ্ত) স্পেকট্রাম (তরঙ্গ) নাই। আমি মনে করি, তাদের স্পেকট্রাম নেওয়া উচিত। আগামী ২২ নভেম্বর জনগণের একটা গণশুনানির বন্দোবস্ত করেছি। শুধু কলড্রপ তা না। আমাদের কাছে কমপ্লেইন (অভিযোগ) এসেছে, যে সমস্ত প্যাকেজ তাদের দেওয়া হয় এত কমপ্লিকেটড (জটিল), অনেকে বলে যে স্যার টাকা-পয়সা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘণ্টা খানেকের ভেতর টাকা চলে যায়।’

আগামী বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে কলড্র

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451