রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১১:৪৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
রিয়াদ-হৃদয়ের ব্যাটে চড়ে সহজ জয় টাইগারদের প্রবাস ফেরত স্ত্রীকে হত্যার পর রক্তাক্ত দা নিয়ে থানায় স্বামী পুড়ছে সুন্দরবন : সর্বশেষ যা জানাল ফায়ার সার্ভিস কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাইয়ের মনোনয়ন বাতিল আল জাজিরার ব্যুরো অফিসে ইসরায়েলি পুলিশের অভিযান ১৫০ উপজেলায় ৩ দিন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, ১০ জেলায় সতর্কতা জারি গুগলকে তিন হাজার কনটেন্ট সরাতে অনুরোধ বাংলাদেশের মুফতি মাহাদী হাসান সাভার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিরব ভোট বিপ্লবে বিজয়ী হওয়ার আশাবাদী রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাকিবুল হাসান মাসুদ

মুম্বাই পুলিশের হেফাজতে দাউদ মার্চেন্ট

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৬
  • ৩০৬ বার পড়া হয়েছে

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস :

ভারতের চলচ্চিত্র প্রযোজক গুলশান কুমার হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি দাউদ মার্চেন্টকে হেফাজতে নিয়েছে মুম্বাইয়ের পুলিশ।

গত ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের কারাগার থেকে মুক্তি পান দাউদ মার্চেন্ট। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছিলেন, তাঁর ব্যাপারে সরকারের কাছে কোনো তথ্য নেই।

তবে আজ শ্রুক্রবার ভারতের গণমাধ্যম জানাচ্ছে, দেশটির মেঘালয় রাজ্যে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) দাউদকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তারা মুম্বাই পুলিশকে খবর দেয়।

মুম্বাই পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের দল মার্চেন্টকে হেফাজতে নিয়েছে। অবৈধভাবে তিনি দেশে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। আমরা তাঁকে মুম্বাই হাইকোর্টে হাজির করি। গুলশান কুমার হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামি মার্চেন্ট এবং ২০০৯ সালে প্যারোলে জামিন পেয়ে তিনি পালিয়ে যান।’

ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, মার্চেন্টের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে এবং সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহীমের লোকজনের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ আছে। গুলশান কুমার হত্যা মামলায় ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল মুম্বাই পুলিশের অপরাধ শাখা এবং এদের মধ্যে মার্চেন্টের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছিল। ২০০২ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। আওরঙ্গবাদ কারাগারে রাখা হয়েছিল তাঁকে। এর মধ্যে ২০০৯ সালে তাঁকে প্যারোলে ১৪ দিনের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়েছিল এবং প্রতিদিন পুলিশের কাছে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। তবে এর মধ্যে তিনি পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন।

ওই বছরের ২৮ মে ভারত সীমান্তবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এক সহযোগীসহ দাউদ মার্চেন্টকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশের পুলিশ। পাসপোর্ট আইনে একটি মামলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, দাউদ অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থান করছিলেন। বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থানের জন্য তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাজা শেষ হওয়ার পর ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তাঁকে আবারও গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ৩ নভেম্বর ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা থেকে দাউদ মার্চেন্টকে অব্যাহতি দেন বাংলাদেশের আদালত। এর আগে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষে উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম রসুল অব্যাহতির আবেদন করেন। সেই আবেদনটি বিচারক মঞ্জুর করলে দাউদ মার্চেন্ট অব্যাহতি পান।

মুম্বাইয়ের সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টি-সিরিজের মালিক গুলশান কুমারকে ১৯৯৭ সালের ১২ আগস্ট আন্ধেরি এলাকার একটি মন্দির থেকে বেরিয়ে আসার সময় গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451