রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন

মার্কিন নির্বাচন রাত পোহালেই

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৬
  • ২৫৮ বার পড়া হয়েছে

নিউইয়র্ক থেকে : বিশ্বের এক নম্বর পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন মঙ্গলবার। দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে। নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ও রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। শেষ মুহূর্তে শ্বাসরুদ্ধকর প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন তারা। ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়া এ দুই প্রার্থীর ব্যক্তিগত আক্রমণ ও উত্তেজনা সংক্রমিত সমর্থকদের মধ্যেও। নিউইয়র্ক টাইমস-এর গত ৪ নভেম্বরের প্রতিবেদন অনুযায়ী আসন্ন নির্বাচনে হিলারি পাবেন ৪৫ ভাগ ভোট আর ট্রাম্প ৪২ ভাগ। রিয়েল ক্লিয়ার পলিটিকসের মতে, হিলারির পক্ষে ভোট ৪৬ দশমিক ৭ ভাগ আর ট্রাম্পের ৪৫ ভাগ। এবিসি’র জনমত জরিপও হিলারির পক্ষে, ৪৭ ভাগ; যেখানে ট্রাম্প ৪৪ ভাগ। অর্থাৎ ভোটের হিসেবে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন।
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের জটিল প্রক্রিয়ায় ভোটের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ হলো ইলেক্টোরাল ভোট। কোনো প্রার্থী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজের মধ্যে ২৭০টিতে জয়ী হতে হবে। ইলেক্টোরাল কলেজের এ জরিপেও সুস্পষ্টভাবে এগিয়ে আছেন হিলারি। সিএনএনের জরিপে এখন পর্যন্ত ২৬৮টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে এগিয়ে আছেন হিলারি। আর ট্রাম্প এগিয়ে আছেন ২০৪টিতে। কে হচ্ছেন আগামী দিনের মার্কিন প্রেসিডেন্ট? হিলারি? নাকি ট্রাম্প? চূড়ান্ত ফলাফল জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামি বুধবার।
মার্কিন নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে এমন ব্যক্তিগত আক্রমণ ও নিম্নমানের ভাষার প্রয়োগ অতীতে কখনোই হয়নি। হিলারি এবং ট্রাম্পকে নিয়ে দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে দেশটির গণমাধ্যমগুলো। উত্তেজনার ঢেউ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাপিয়ে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও পৌঁছেছে। এমন উত্তেজনা নিকট অতীতে হয়নি দেশটিতে।
যুক্তরাষ্ট্রের এ নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ ও উত্তেজনার কমতি নেই বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজও মার্কিন নির্বাচনী জ্বরে আক্রান্ত।
শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী জরিপগুলোতে ট্রাম্পের চেয়ে হিলারি এগিয়ে আছেন। তবে ব্যবধান কিছুটা কমেছে। হিলারি ক্লিনটন নির্বাচিত হলে দেশটিতে নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি হবে। তিনিই হবেন দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।
ব্যক্তি হিসেবে হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে সবচেয়ে ভাল সম্পর্ক বা বন্ধুত্ব বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের। গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে দূরত্ব রয়েছে তার। বলা চলে সরকারের শীর্ষমহলের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক ড. ইউনুসের। এ অবস্থায় হিলারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হলে এর প্রভাব বাংলাদেশের ওপর বিশেষ করে সরকারের ওপর পড়বে কীনা, এ নিয়ে প্রশ্ন নানামহলে।
নির্বাচনী প্রচারের শেষদিকে এসে দলীয় প্রার্থী সাবেক ফার্স্ট লেডি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারির পক্ষে প্রচার জোরদার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা। সম্প্রতি মিশেল ওবামা ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় হিলারিকে ভোট দেয়ার আহবান জানান। মিশেল ওবামার সেই ভিডিও বার্তাটি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন হিলারি ক্লিনটনও। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গত ৩ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় হিলারি এটি পোস্ট করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451