সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০৮:৪৫ অপরাহ্ন

সুনামগঞ্জে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতার বিরোদ্ধে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলনে অভিযোগ দায়ের

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৬
  • ২১৯ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতার

বিরোদ্ধে অবৈধ ভাবে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলনে অভিযোগ

উঠেছে। এই দু-নেতা ২বছর ধনে পুরাতন যাদুকাটা নদীতে অবৈধ

ভাবে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন করায় এশিয়ার বৃহত্তর মিছাখালী

রাবার ড্রেম,দশটি গ্রাম সহ ২মসজিদ হুমকির মুখে পড়েছে। এ

কারনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন দপ্তরে গত

০২,১১,১৬ইং তারিখে অভিযোগ দায়ের করেছেন উপজেলার ১,২,৩ নং

ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের সদস্য আনোয়ারা বেগম। এর পূর্বে

১৭,১০,১৬ইং তারিখে এলাকাবাসীর পক্ষে মোঃ ফরিদ আলম আরেকটি

অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অভিযোগ দায়ের করার পরেও অদৃশ্য কারনে

সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কোন কার্যকর প্রদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রতিদিন

২টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে দিনে ও রাতে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন

করেই যাচ্ছে। ফলে এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোবের সঞ্চার হচ্ছে।

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়,উপজেলার দক্ষিন বাদাঘাট ইউনিয়নের

পুরাতন যাদুকাটা নদীতে অবৈধ ভাবে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের

সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম

আহবায়ক জামাল হোসেন,কামাল মিয়া,দিলার সহ তাদের সহযোগীরা

ড্রেজার দিয়ে র্দীঘ দিন ধরে বালি উত্তোলন করছে। দীর্ঘ দু-বছর ধরে

ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন করায় নদীর গভীরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে

করে এশিয়ার বৃহত্তর মিছাখালী রাবার

ড্রেম,সিরাজপুর,বাগগাও,ওমরপুর,উলাশনগড়,মোদের গাওঁ,২টি

মসজিদ সহ দশটি গ্রাম হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়াও দিনে-রাত

সব সময় ড্রেজার মেশিনের বিকট শব্দের কারনে এলাকার স্কুল কলেজের

ছাত্রছাত্রীরা পড়া শুনা করতে সমস্যা হচ্ছে। এই বিষয়ে বার বার ঐ সব

ড্রেজার মালিকদের মৌখিক ভাবে বলার পড়ে উল্টো বিভিন্ন ভাবে

হুমকি প্রদর্শন করে। উপজেলার ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত

সংরক্ষিত আসনের সদস্য আনোয়ারা বেগম বলেন,নদীতে ড্রেজার

মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করায় প্রায় অর্ধশতাধিক বাড়ি ঘর

নদীতে বিলিন হয়েছে গেছে। বার বার তাদের নিষেধ করলে তারা উল্টো

আমাদের বিভিন্ন মামলায় ফাসিঁয়ে দেবার হুককি দেয়। লিখিত ভাবে

অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে দেবার পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে

প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় ড্রেজার মেশিন বন্ধ হচ্ছে না ফলে

এশিয়ার বৃহত্তর মিছাখালী রাবার ড্রেম,শতাধিক বাড়ি-ঘর ও দুটি

মসজিদ এখন হুমকির মুখে রয়েছে। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের

সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম

আহবায়ক জামাল হোসেন কাছে ড্রেজার মেশিন চালানোর

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে দু-জনেই অস্বীকার করে করে

বলেন,ড্রেজার মেশিন চালানোর বিরোদ্ধে আমরাও। মদেরগাওঁয়ের চানঁ

মিয়া মেম্বার ড্রেজার মেশিন চালায় আমাদের কোন ড্রেজার মেশিন

নাই। ভাই সুনামগঞ্জের সদরে আরো একশত ড্রেজার চলে সেই টাও

লেইখেন। চানঁ মিয়া মেম্বার জানান,আমার কোন ড্রেজার নাই

কামরুজ্জামান ও জামাল আমার বিরোদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ

করছে,তারাই দীর্ঘ দিন ধরে ড্রেজার চালায় এট সবাই জানে।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা

জানান,অভিযোগ পেয়েছি এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন

করব।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451