বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১:২০ পূর্বাহ্ন

খাদ্য বান্ধব কর্মসুচি ভেস্তে -জামালগঞ্জে ৩০কেজি চালের বস্তায় চাল কম

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৬
  • ২৫১ বার পড়া হয়েছে

 

jahangir-alomজাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:


সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার “শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে

নিরুদ্দেশ” এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে প্রধান মন্ত্রী খাদ্য বান্ধব

কর্মসুচি ভেস্তে যাচ্ছে। খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির চালের বস্তায় চাল কম

দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বিভিন্ন ডিলার দোকানে ডিলারদের

দেয়া ১০টাকা কেজির চালের বস্তা ওজন করলে প্রতি বস্তায় ১ থেকে দেড়

কেজি চাল কম পাওয়া গেছে। ডিলারদের কাছে চালের বস্তা পৌঁছার

পূর্বেই উপজেলা খাদ্য গুদাম পরিদর্শনে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান

হাফিজা আক্তার দিপু স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা চাল ওজন করলে গুদামের

ভেতরই প্রতি বস্তায় ১ থেকে দেড় কেজি চাল কম পাওয়ায় খাদ্য উপস্থিত

পরিদর্শক কে বিভিন্ন প্রশ্ন করলে তিনি সদুত্তর না দিয়ে বলেন,খাদ্যগুদাম

কর্মকর্তা (ওসিএলএলএসডি) সুনামগঞ্জ আছেন,আপনারা তার সাথে

কথা বলেন। গতকাল সরেজমিনে বিভিন্ন স্থানে ডিলারদের চাল বিতরণের

বস্তায় ওজন দিয়ে চাল কম পাওয়া গেছে। সাচনা বাজার এলাকার রামনগর

বাজারে,সাচনাবাজারে,ভীমখালির লালাবাজর ও কারেন্টের বাজারে সদরের

প্রায় সব ক’টি স্থানেই বস্তায় চাল কম পাওয়া গেছে। কিছু কিছু

এলাকার ভুক্তভোগীরা বস্তায় চাল কম থাকার কারনে চাল না নিয়ে খালি হাতে

বাড়ি ফিরে যান। এ ছাড়া সাচনা বাজার ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব

তালিকায় ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের হত দরিদ্রের তালিকায় বিত্তশালী,

ব্যবসায়ী,সচ্ছল পরিবারের একাধিক নাম রয়েছে বলে জানা যায়। সাচনা

বাজার ডিলারের আওতায় রামনগর এলাকার হত দরিদ্র ভোক্তভুগী,আব্দুল

হান্নান,লাল মিয়া,খোশনাহার,ইছব আলী,ললিতা বেগম,নেহারুন বেগম

সহ উপস্থিত ভুক্তভোগীরা চাল কম দেওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। এব্যপারে

বিস্তর অভিযোগ তুলে ধরে চাল না নিয়ে বাড়ি চলে যান। ঠিক একই ভাবে

উপজেলার সব কটি স্থানেই গতকাল চাল কম দেয়ার বিষয় টি জানান

ভুক্তারা। এ ব্যপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা অসীম কুমার

তালুকদার বলেন,আমাদের মিটার (পরিমাপক যন্ত্র) এনালগ তাই ডিজিটাল

মিটারের সাথে মিলেনা কিছু কম থাকে। তবে ১ থেকে দেড় কেজি ওজন

কম কেন জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।

উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজা আক্তার দিপু

বলেন,প্রথমই শুনেছি গুদাম থেকেই চাল কম প্যাকেট করা হচ্ছে। আমি চাল

কম দেয়ার বিয়টি শুনে ইউএনও সাহেব কে বিষয়টি জানালে তিনি

আমাকে ঘটনা স্থলে পাঠান। আমি লাল বাজার ও কারেন্টের বাজার এলাকায়

সাংবাদিক সহ পরিদর্শন করে বস্তায় ১ থেকে দেড় কেজি চাল কম পাই। এ

ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুনজর

প্রত্যাশা করছি। জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলিমা

আহমেদ পলি বলেন,আমি বিষয়টি শুনেছি,এ ব্যাপারে ফুড ইন্সপেক্টর ও

ট্যাগ অফিসারদের নিয়ে আলোচনা করেছি। আগে যা হয়েছে তা তদন্ত

করে ব্যবস্তা নেয়া হবে। পরবর্তীতে এমন অনিয়ম হতে দেবনা,যদি কেউ

অনিয়ম করে আইন অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451