আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের শতভাগ প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে চলছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মহড়া। আগামীকাল সম্মেলন উদ্বোধন করবেন দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের গতি ও নেতৃত্বের কারণে ঐতিহাসিক এই দলটির সম্মেলনের দিকে তাকিয়ে বিশ্বনেতারা।
জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হবে শনিবার অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন। তাই সেভাবেই শুর হয় মহড়া।
দলীয় প্রতীক নৌকার আদলের মঞ্চ তৈরি। চলেছে শেষের দিকে রং আর তুলির টান। দেশি বিদেশী প্রায় ৪০ হাজারের মতো কাউন্সিলর আর ডেলিগেটসকে স্বাগত জানাতে তৈরি ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
কাউন্সিলে আমন্ত্রিত অস্ট্রেলিয়ার লেবার পার্টির এক সদস্য বলেন, ‘এটি একটি বড় সম্মেলন। আমি আমন্ত্রিত হতে পের খুবই উচ্ছ্বসিত। কারণ আমি অস্ট্রেলিয়ার লেবার পার্টির সদস্য এবং আমি মনে করি আমরা মানুষের জন্য একই উদ্দেশ্যে কাজ করি। এছাড়া এতো বড় সম্মেলন গণতন্ত্রেরই আরেকটি রূপ যেখানে জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দেয়া হয়।’
এছাড়া দেশের স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্ব অর্জনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রাজনৈতিক এই দলটির সম্মেলনের দিকে তাকিয়ে সবাই। আর তাই সম্মেলনের প্রস্তুতি দেখতে শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসেন আমন্ত্রিত অনেক বিদেশীরাও।
এদিকে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, এবারের সম্মেলনে প্রাধান্য পাচ্ছে নতুন নেতৃত্ব।
এবারের গঠনতন্ত্রে আসছে বেশ কিছু পরিবর্তন ও পরিবর্ধন। তবে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন প্রক্রিয়া চলবে বলে জানান আওয়ামী লীগের নেতারা।
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আমাদের গঠনতন্ত্র খুব পরিচ্ছন্নভাবে বলেছে একের অধিক যদি প্রার্থী হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবে আমরা সমঝোতার চেষ্টা করবো, তাতে সমাধান না হলে তখন ভোট ছাড়া আমাদের বিকল্প কোন পথ নেই।’
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা প্রস্তুত, আমাদের প্রস্তুতি শতভাগ সম্পন্ন।’
টানটান উত্তেজনার মধ্যে শুরু হওয়া এই সম্মেলনকে ঘিরে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি। এরই মধ্যে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
পুলিশ পরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এখানে উপস্থিত থাকবেন এবং তারা এটি তদারকি করবেন। মোটকথা এখানে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে যা যা করার দরকার সবকিছু করা হয়েছে।’