চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং এর বাংলাদেশ সফরকে সফল দাবি করে দুই নেতা বলেছেন, দু’দেশের সম্পর্ক এখন নতুন উচ্চতায় পৌঁছালো। শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনা ও জিনপিং এর দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তাঁরা।
এ সফরে স্বাক্ষরিত বিভিন্ন চুক্তির ফলে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত হওয়ার আশা করে জিনপিং বলেছেন- তথ্য প্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন, সন্ত্রাস দমন ও সমুদ্রসীমা রক্ষায় এক সঙ্গে কাজ করবে চীন-বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানান।
গত ৩০ বছরের কূটনৈতিক ইতিহাসে এই প্রথম বাংলাদেশে এলেন চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং। বেলা তিনটায় কড়া নিরাপত্তায় সুসজ্জিত গাড়িবহরে শি জিনপিং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শি জিনপিং এর নেতৃত্বে দু’দেশের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে হয় দ্বি-পক্ষীয় বৈঠক। এসময় বাংলাদেশ ও চীনের পারস্পারিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় উত্থাপিত হয় আলোচনার টেবিলে।
যৌথ বৈঠকের এক ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন শি জিনপিং। পরে দু’জনের উপস্থিতিতেই স্বাক্ষরিত হয় সহযোগিতার ২৭ টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক। চুক্তি সইয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে যৌথ বিবৃতিতে শি জিনপিং এবং শেখ হাসিনা বলেন- সফল এই সফরে নতুন উচ্চতায় পৌঁছালো দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক।
বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম সহযোগী রাষ্ট্র চীন এবার তাদের সহযোগিতার হাত আরো সম্প্রসারিত করলো। শি জিন পিংয়ের এই সফরে যে ২৭টি চুক্তি সাক্ষরিত হলো সেগুলো নিম্ন-মধ্যম আয়ের বাংলাদেশকে মধ্যম আয় বা উন্নত আয়ের বাংলাদেশে পরিণত করতে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট সবকটি মহল।
এর আগে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে শি জিনপিং অবতরণ করলে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সেখানে তাঁকে লাল গালিচায় সংবর্ধনা দিয়ে তিন বাহিনীর চৌকস দল সম্মান জানায় রাষ্ট্রীয় সালামে। এসময় বিউগলে বেজে ওঠে চীন ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত।