সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন

শিয়ের সফরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন যুগে যাবে : প্রধানমন্ত্রী

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৬
  • ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

 

 

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সফর দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অন্যান্য খাতে ‘নিবিড় সহযোগিতার এক নতুন যুগের’ সূচনা করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চীনা প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের প্রাক্কালে গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভন গণভবনে সিনহুয়াকে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট শি বাংলাদেশ সফরে আসছেন এজন্য আমরা অত্যন্ত খুশি এবং সম্মানিত বোধ করছি। আমার বিশ্বাস প্রেসিডেন্ট শির এই সফর দক্ষিণ এশিয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে।’

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ককে অত্যন্ত গভীর উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, সুপ্রতিবেশীমূলক চেতনা, পারস্পরিক বিশ্বাস, আস্থা এবং একে-অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা এই পাঁচটি নীতিতে গাঁথা।

শেখ হাসিনা পুনরুল্লেখ করেন, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে ‘এক চীন নীতিতে’ অবিচল এবং চীনের মূল জাতীয় স্বার্থ এবং দেশটির জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীন আমাদের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার এবং আমরা আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে চীনকে বিশ্বস্ত অংশীদার মনে করি। তিনি বলেন, অর্থায়ন, মূলধন এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আমাদের অনেক মেগা প্রজেক্টের প্রধান চালিকাশক্তি।

‘বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক এখন সহযোগিতার অংশীদারত্বে আবদ্ধ। আমরা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের র্দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সফরের মাধ্যমে এই সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার সহযোগিতা বিগত দশকগুলোতে পূর্ণতা পেয়েছে। তবে অবকাঠামো উন্নয়ন এবং আইসিটি, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ ও ইলেক্ট্রনিকের মতো উদীয়মান খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দুটি দেশের সম্পৃক্ত হওয়ার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রস্তাবিত বেল্ট এবং সড়ক নির্মাণের উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ায় বাকি অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন এবং দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে একক অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় চীনের সহায়তা কামনা করেন। তিনি বস্ত্র, চামড়া, পেট্রকেমিকেল, ফার্মাসিউটিক্যাল, জাহাজ নির্মাণ এবং কৃষি প্রক্রিয়াকরণের মতো দেশের উদীয়মান খাতে চীনা কোম্পানির বিনিয়োগকে স্বাগত জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক ও শিল্প অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছি, যা আমাদের অর্থনীতি বিনিয়োগ এবং বাণিজ্য সহযোগিতায় এটি হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। আমরা এসব অঞ্চলে ব্যক্তিগতভাবে বিনিয়োগ করতে চীনা কোম্পাসিকে উৎসাহিত করতে চাই।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451