সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৪:৫১ অপরাহ্ন

সুনামগঞ্জের ছাতকের সুরমা নদীতে দশ বছর ধরে বন্ধ সেতুর কাজ

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৬
  • ২৪৫ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া,ছাতক(সুনামগঞ্জ)থেকে ফিরে

সুনামগঞ্জের শিল্প নগরী ছাতক উপজেলার সুরমা নদীতে র্দীঘ দশ

বছর ধরে বন্ধ রয়েছে বহু প্রতিক্ষিত এই সুরমা সেতুর কাজ। এই

নদীর উপর সেতু স্থান না হওয়ায় জেলার দোয়ারা বাজার উপজেলার লক্ষ লক্ষ

জনসাধারন ও সুনামগঞ্জ জেলা সদরের সাথে সাথে যোগাযোগ

বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে ৪লক্ষাধিক

জনসাধরন। সুরমা নদীর উপর ব্রীজ নির্মান করা হলে ছাতক থেকে

দোয়ারা বাজার উপজেলা হয়ে সুনামগঞ্জ যোগাযোগ করা সহজ

হবে উপজেলা বাসীর। স্থানীয় এলাকাবাসীর র্দীঘ দিনের দাবী

থাকলেও জনসাধারনের কথা চিন্তা করছে না কেউ যেন দেখার কেউ

নেই।

সরজমিন এলাকা ঘুরে ও সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাযায়,ছাতকের সুরমা

নদীর উপর ২০০৪সালে দোয়ারা বাজার উপজেলার সাথে সড়াসরি

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের স্বার্থে ছাতক পৌর শহরের

বাজনার মহল এলাকায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট

সরকারের আমলে সুরমা নদীতে জনসাধরনের সুবিধার কথা

বিবেচনা করে নির্মানের উদ্যোগ গ্রহন করে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।

একেই বছর ২৩শে আগষ্ট ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধান

মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এরপর সরকারের একটি বিশেষ প্রকল্পের

আওতায় ২০০৬সালে জানুয়ারীতে ১৮কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু

হয়েছিল এ সেতুটির কাজ। সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল তিন

বছর। শুরু হওয়ার এক বছরের মধ্যে ৮কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির

চারটি স্তম্ভ (পিলার) নির্মান করা হয়। ২০০৭সালে তত্বাবধায়ক

সরকার ক্ষমাতায় আসার পর সেতুর নির্মান সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

এর পর প্রকল্পটি এডিপি থেকে বাতিল করা হয়। ২০১০সালে এ

সেতুটির অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য ৫১কোটি টাকার একটি

নতুন সংশোধিত প্রকল্প যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ে অনুমোদনের জন্য

আবেদন করা হয়। এই আবেদনের পরে আবার চলতি বছরে নতুন করে

১১২কোটি ৯৯লাখ ৪৯টাকার প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য সড়ক ও

জনপদ বিভাগের প্রধান কার্য্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন

পেলে সেতুর বর্তমান পিলার গুলো ঠিক রেখে ভূমি অধিগ্রহন

জটিলাতা নিরসনের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সহায়তার

জন্য চিঠি দেওয়া হবে। নতুন প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহন বাবদ খরচ

ধরা হয়েছে ২২কোটি টাকা। এরপরও আজ পর্যন্ত এই আবেদন

অনুমোদিত না হওয়ায় এই সেতুর কাজ নাও হতে পারে বলে জানান

সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। যেখানে তিন বছরের মধ্যে ব্রীজ নিমার্ন কাজ

সর্ম্পূন শেষ করার কথা সেখানে দশ বছরেও এর কুল কিনারা করতে

পারে নি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। ফলে চরম দূর্ভোগের মধ্যে রয়েছে লক্ষ লক্ষ

জনসাধারন আর তাদের মাঝে চরম ক্ষোব বিরাজ করছে। স্থানীয়

এলাকাবাসীর অভিযোগ,সেতুটি পরিকল্পনাহীন ভাবে নির্মান

কাজ শুরু করা হয়েছিল যার জন্য এ সেতুর ভবিষ্যত্ব অন্ধকার। এখন

সেতুর সংযোগ মুখে আকিজ গ্রুপের কারখানা সহ বিভিন্ন

কারখানা ও স্থাপনা তৈরী করা শুরু হয়েছে। আর এসব কারখানা ও

স্থাপনা মালিকগন তারাও সেতুটি নির্মান কাজ না হওয়ার পক্ষে

কাজ করছে। এলাকার উন্নয়ন,ব্যবসা বানিজ্যের উন্নয়নের কথা

ভাবছে না সরকার আর আমাদের কষ্টের কথা ত কেউ শুনেছে শুধু

সবাই সবার আখের গোছানো নিয়ে ব্যস্থ রয়েছে। সুনামগঞ্জ

জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী কার্য্যালয় সূত্রে জানাযায়,এ

সেতুটি নির্মানের জন্য নতুন করে ১১২কোটি ৯৯লাখ ৪৯টাকার

প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রধান

কার্য্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে আনুশাঙ্গিক কাজ

শেষ করে সেতুর বর্তমান পিলার গুলো ঠিক রেখে কাজ শুরু হবে।

ছাতক উপজেলা আ,লীগের সাধারন সম্পাদক ছানাউল্লাহ

বলেন,ছাতক-দোয়ারা বাজার উপজেলার জনসাধারনে জন্য এই

সেতুটি খুবেই গুরুত্বর্পূন। সেতুটি নির্মান হলে এই এলাকার

লক্ষ লক্ষ জনসাধারনে জীবন মানে উন্নয়ন হবে। এব্যাপারে সড়ক ও

জনপদ বিভাগ(সওজ) ছাতক উপজেলার দায়িত্বে থাকা উপবিভাগীয়

প্রকৌশলী সজিব আহমদ জানান,সেতুটি নির্মানের জন্য নতুন

করে অর্থ বরাদ্ধ চেয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সওজের প্রধান

কার্য্যলযে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই প্রয়োজনীয়

কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুনামগঞ্জ ৫ আসনের সাবেক সংসদ

সদস্য কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন জানান,তত্বাবদায়ক সরকারের আমলে

হঠাৎ করেই সেতু নির্মানের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এর পর আর কোন

কাজ হয় নি। সেতু সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে কথা বলেও কোন

কাজ হয় নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451