হ্যাকিং ইতিহাসে সম্প্রতি ৫’শ মিলিয়ন ইয়াহু অ্যাকাউন্ট হ্যাকের ঘটনা দুনিয়াজুড়ে প্রচন্ড হৈচৈ ফেলে দেয়। হ্যাকাররা ইয়াহুর নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত অনেক তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে, খবরটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেই জনসম্মুখে আনা হয়েছিল। কিন্তু প্রকৃত সংখ্যা নাকি প্রকাশ করেনি ইয়াহু, এমনটাই দাবি প্রতিষ্ঠানের সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তার।
তার মতে, শুধু ৫’শ মিলিয়ন নয় এই সংখ্যা ১ থেকে ৩ বিলিয়নে ঠেকতে পারে।
সাবেক এই নির্বাহী যিনি ইয়াহুর নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি সম্পর্কে বেশ অভিজ্ঞ। সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি ইয়াহুর ব্যাক-এন্ড সিস্টেম সংগঠনের দিকটি তুলে ধরেন। এবং বলেন আমার বিশ্বাস নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত যে অ্যাকাউন্টের সংখ্যা প্রকশিত হয়েছে সেই সংখ্যা আরো অনেক বেশি হবে।
যদিও আমি বহুদিন ইয়াহুর সঙ্গে নেই , তারপরও এখনো কোম্পানির কর্মচারীদের সাথে যোগাযোগ রয়েছে। এমনকি এই ঘটনার তদন্তের সাথে যুক্ত একজনের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে।
ব্যাবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট থেকে চুরি যাওয়া তথ্যের মধ্যে নাম, ইমেইল ঠিকানা, জন্ম তারিখ, টেলিফোন নম্বর, এনক্রিপ্টেড পাসওয়ার্ড, এনক্রিপ্ট বা আনএনক্রিপ্টেড ব্যক্তিগত প্রশ্ন ও সেগুলোর সংশ্লিষ্ট উত্তর থাকতে পারে।
তিনি বলেন, ইয়াহুর ডাটাবেজ অনেক বড় এবং নিরাপত্তা ভঙ্গের উল্লেখিত সময়ে প্রতি মাসে তাদের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৭০০ মিলিয়ন থেকে ১ বিলিয়ন। এছাড়া অনেক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় থাকলেও সেগুলো তালিকাভুক্ত ছিল।
আর এই ডাটাবেসে হ্যাকাররা অনুপ্রবেশ করতে সক্ষম হয়। তবে ডাটাবেসের সব তথ্য হয়ত চুরি করতে পারেনি তারা।
এদিকে ইয়াহু ঘটনার পুরোটা প্রকাশ্যে আনেনি, যে কারণে বলা কঠিন যে আসল সংখ্যাটা কতো।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে সাইবার সিকিউরিটি লঙ্ঘনের ঘটনাটি ঘটেছিল বলে ইয়াহু জানায়।
প্রতিষ্ঠানটির দাবি , রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠাপোষকতায় পরিচালিত একটি দল যেটি হ্যাকিং আক্রমণের উদ্দেশ্যে চালু, তারাই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। কিন্তু নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা ইয়াহুর এই অভিযোগকে অসত্য বলেছেন।