সিলেটে কোপে আহত কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নারগিসের মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। তাঁর বাঁচার সম্ভাবনা ৫ শতাংশ। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে তাঁর এই অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে।
হাসপাতালের নিউরো সার্জন ডা. রেজাউল সাত্তার বলেন, ‘খাদিজার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। তাঁকে ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।’
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মির্জা নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘এলোপাতাড়ি কোপে তাঁর মস্তিষ্কে গুরুতর আঘাত লেগেছে। খাদিজার বাঁচার সম্ভাবনা মাত্র ৫ শতাংশ।’
গতকাল সোমবার বিকেলে কোপে গুরুতর জখম হওয়ার পর সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মধ্যরাত পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। অবস্থার অবনতি হওয়ায় আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে খাদিজাকে স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই আজ সন্ধ্যায় তাঁর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়েছে।
খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস জানান, তাঁর মাথায় পাঁচ-ছয়টি কোপ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা কোনো আশ্বাস দিতে পারেননি। তাঁরা বলেছেন, পরিস্থিতি ভালো নয়। কোপে গুরুতর জখম হয়েছে। স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তির পর পরিস্থিতি দেখে তৎক্ষণাৎ তাঁকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।
গতকাল দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিতে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন খাদিজা। বিকেলে পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলম (২৭)। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা তাঁকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।