ঝালকাঠি সংবাদদাতাঃ-ঝালকাঠি থানা নিরাপত্তার আবেদন সত্বেও
পুলিশের উপস্থিতিতে হাইকোর্টের আদেশ লংঘন করে থানার দু’শ গজ দূরে
জেলা যুবমহিলা লীগের সভাপতির পৈত্রিক বাড়িতে হামলা-ভাংচুর ও
লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় শহরের রিড রোডে জেলা
যুবমহিলা লীগের সভাপতি লুৎফুন্নাহার লুনার পৈত্রিক বসত বাড়িতে এ
ঘটনা ঘটেছে। ষ্টেশনরোড এলাকার বাসিন্দা মৃত শাহজাহান মৃধার স্ত্রী
নুরুন্নাহার জাহানের পক্ষে ভাড়াটে সন্ত্রাসী প্রিন্স, শান্ত, ছগির,
সিদ্দিক ও মোর্শেদের নেতৃত্বে শতাধিক ক্যাডার এ দখল ও লুটপাটে অংশ
নিয়েছে বলে লুৎফুন্নাহার লুনা অভিযোগ করেছে। এব্যাপারে তার পিতা ঘর
মালিক কামরুল ইসলাম ঘটনার আগে বৃহস্পতিবার রাতে ও হামলা-লুটপাটের
পর শুক্রবার বেলা ১২টায় দু’দফায় হাইকোর্টের আদেশের কপি সহ ঝালকাঠি
থানায় লিখিত অভিযোগ প্রদান করলেও থানা পুলিশ রহস্যজনক নিরবতা পালন
করেছে।
অভিযোগে প্রকাশ খাদ্য বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত পরিদর্শক ও ঝালকাঠি
জেলা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী লুৎফুন্নাহার লুনার পিতা মো. কামরুল
ইসলাম ৩০ বছর পূর্বে ঝালকাঠি শহরের মসজিদ বাড়ী এলাকার মাথায় রিড
রোডে নতুন চর মৌজার ২৮৬ এসএ খতিয়ানে ও বিএস ২১৮ খতিয়ানের
৬৩৫ নং দাগে ৯২ সহশ্রাংশ সম্পত্তি ১৯৮৬ সালে শাহাদাৎ হোসেনের কাছ
থেকে ক্রয় করে বসবাস করে আসছেন। উক্ত সম্পত্তির মধ্যে ৩৫ সহশ্রাংশ
সম্পত্তি মৃত শাহজানের স্ত্রী নুরুন্নাহার জাহান দাবী করলে এ নিয়ে
কামরুল ইসলাম ঝালকাঠি সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে উচ্ছেদ মামলা
দায়ের করেন। মামলাটি ঝালকাঠির আদালতে খারিজ হয়ে গেলে উক্ত আদেশের
বিরুদ্ধে বাদী কামরুল ইসলাম হাইকোর্টে সিভিল রিভিশন নং ৯০৩/ ২০১৬
দায়ের করেন। গত ২০/০৪/২০১৬ তারিখ হাইকোর্টের বিচারপতি মো.
ইমদাদুল হক আজাদের বেঞ্চ তফসিল সম্পত্তি নিয়ে উভয় পক্ষের প্রতি ৬ মাসের
জন্য স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।
হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল থাকা অবস্থায় নুরুন্নাহার জাহান
ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে বিরোধীয় সম্পত্তি দখল করে নেয়ার আশংকা করে
কামরুল ইসলাম গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে ঝালকাঠি থানার ওসির কাছে
একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু শুক্রবার ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৯
টায় সন্ত্রাসী বাহিনী বাড়ি দখল করা শুরু করলে কামরুল ইসলাম ওসির সাথে
যোগাযোগ করলে প্রায় আধাঘন্টা কালক্ষেপন করে পুলিশ পাঠালে তৎক্ষনে
বাড়ি ভাংচুর, লুটপাটও দখল সম্পন্ন করে সন্ত্রাসী বাহিনী। ভাংচুর ও দখলে
বাধা দেয়ার সময় কামরুল ইসলামের মেয়ে যুবমহিলা লীগের সভানেত্রী
লুৎফুন্নাহার লুনা, তার স্বামী নাসির নকিবসহ পাঁচজন আহত হন।
লুৎফুন্নাহার লুনা অভিযোগ করেন, নুরুন্নাহার জাহানের ভাড়া করা
সন্ত্রসী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডার প্রিন্স, শান্ত, ছগির, সিদ্দিক ও
মোরসেদের নেতৃত্বে শাতাধিক ক্যাডার এ দখল ও লুটপাটে অংশ নেয়।
হামলাকারীরা টেলিভিশন, নগদ ৫ হাজার টাকা ও ঘরের মূল্যবান সামগ্রী লুট
করে নিয়ে যায়। তিনি আরো অভিযোগ করেন নুরুন্নাহার জাহান
প্রয়াত বিএনপি নেতার শাহজাহান মৃধার স্ত্রী হওয়া সত্বেও যুবলীগ ও ছাত্র
লীগের একটি অংশ থাকে অন্যায়ভাবে সহযোগীতা করছে।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি থানার ওসি মো.মাহে আলমের সাথে
মুঠোফোনে কল দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে হামলা,ভাংচুর লুঠপাটের
ঘটনা সম্পর্কে আইনগত কোন ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে কি জানতে চাইলে
তিনি কোন সদুত্তোর না দিয়ে ফোন কেটে দেন।