ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু শহরের শিখা ক্লিনিকে ডাক্তারের ভুল
অপারেশনে পলি খাতুন (২২) নামে এক প্রসুতির মৃত্যু পর পঞ্চাশ
হাজার টাকায় রফা হয়েছে। কোন মামলা বা ঝামেলা না করার শর্তে
এই টাকা দেন ডাঃ আলমগীরের পক্ষে থেকে।
ডাঃ আলমগীর পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে একটি অকাল মৃত্যু
ধামাচাপা দিতে সমর্থ হন বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে
হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমিটির সদস্য এম সাইফুজ্জামান
বিষয়টি তদন্ত করার জন্য জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনের কাছে
লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে হরিণাকুন্ডু হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ
আলমগীর হোসেন আদৌ এ ধরণের অপারেশন করতে পারেন কিনা
প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের
পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা জানা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, হরিণাকুন্ডুর পারফলসি গ্রামের আবুল কালাম ওরফে কালুর
স্ত্রী পলি খাতুন হত শুক্রবার সিজারিয়ানের জন্য ভর্তি হন শিখা
ক্লিনিকে। রাতেই অপারেশন করেন ডাঃ আলমগীর হোসেন।
মধ্যরাতে ভালভাবে জ্ঞান ফিরে আসলে পলি খাতুনের অবস্থা
সংকটাপন্ন হয়ে পড়েন। তখন তড়িঘড়ি করে তাকে কুষ্টিয়া
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন ডাঃ আলমগীর।
সে সময় রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেছিলো, অপারেশনের সময়
নাড়ি বা অন্য কোন শিরা কেটে ফেলার কারণে পলি খাতুনের
মৃত্যু হয়েছে। নিহত পলির স্বামী সাংবাদিককে জানান,
মেডিকেল অফিসার ডাঃ আলমগীর হোসেন কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার
না হলে তাকে অপারেশন করা আইনগত ভাবে অপরাধ। তদন্তপূর্বক তার
শাস্তির দাবি করেন নিহতের স্বামী।
ঘটনার পর থেকেই ডাঃ আলমগীর হোসেন পলাতক রয়েছেন। তার
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ফুসে উঠেছে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসি।