রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সাভারে ২৪ কেজি গাঁজাসহ আটক ১ আশুলিয়াকে উপজেলায় উন্নতি করণসহ ৪ দফা দাবিতে মানববন্ধন  “আওয়ামী উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ” আশুলিয়ায় এক যুবকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি গ্রেফতার ৪ নারায়নগঞ্জে গরু রাখাকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের  ৪জনকে কুপিয়ে জখম আশুলিয়ায় ২৯৩ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‍্যাব ৪ মেয়েসহ এক ভন্ড তান্ত্রিক গুরু মাকে গ্রেফতার বঙ্গবাজারের আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে : ফায়ার সার্ভিস বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে ; ঘটনাস্থলে চল্লিশটি ইউনিট কাজ করছে সাভারে “এখন” টিভির প্রতিনিধির উপর হামলা, ক্যামেরা ভাংচুর

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামায শেষে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) দুই হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) জুমার নামায শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নামায পড়তে যাওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগকর্মী সেলিম রেজাকে সাইড দিতে বলেন কাজী নজরুল ইসলাম হল ছাত্রলীগ নেতা ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল রায়হান। নামায শেষে রায়হানের কাছে বিষয়টি জানতে চান বঙ্গবন্ধু হলের সেলিম রেজা, রিফাতসহ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী।

এ সময় দুই হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। উভয় পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতারা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে এবং উভয় পক্ষ হলে ফিরে যান। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ লাঠি হাতে নেতাকর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগের কর্মী সেলিম রেজা বলেন, আমরা কয়েকজন মসজিদে যাওয়ার জন্য বের হই। হলের গলি দিয়ে হাঁটার সময় রায়হান ভাই হুট করে পেছন থেকে এসে ধাক্কা দিয়ে বলে তুই সরে দাঁড়া। নামাজ শেষে বিষয়টি বন্ধুদের জানালে আমিসহ রায়হান ভাইয়ের কাছে জানতে চাই কেন এমন আচরণ করেছে। এ সময় সে বলে তুই কোন ব্যাচ? আমাকে চিনস? আমি বলি, আমি আপনারে চিনি না। ভাই থ্রেট দিতেসেন কেন? সে বলে তোরে থ্রেড দিলে কি হইছে, তোরা সব বেয়াদব। এ সময় সে আমার ওপর চড়া হয়ে লাঠি নিয়ে মারতে আসে। পরে হলের সিনিয়ররা উপস্থিত হলে আমরা হলে চলে আসি।

বিষয়টি নিয়ে নজরুল হলের ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল রায়হান জানান, আমি নামাজে যাওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু হলের ভিতর দিয়ে তাকে সাইড দিতে বলায় নামাজ শেষে আমার সাথে আমাকে ডেকে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। ধাক্কা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তাদেরকে কেন ধাক্কা দিতে যাব? বলেছি তাড়াতাড়ি হাঁট না হলে জায়গা দে।

এ বিষয়ে কাজী নজরুল ইসলাম হলের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুল হাসান পলাশ বলেন, সিনিয়র জুনিয়র ভুল বুঝাবুঝি হলে আমরা দুই হলের সিনিয়ররা মিলে তা মীমাংসা দিয়েছি।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাইল ইসলাম মাজেদ, নামাজ থেকে বের হয়ে দেখি দুই হলের ছেলেদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হচ্ছে আমি তখন তাদের যার যার হলে চলে যেতে বলি। আমরা দুই হলের লোকজনের সাথে এটা নিয়ে বসে মীমাংসা করে দেব।

তিনি আরো বলেন, যারা ইচ্ছাকৃতভাবে দলের নাম খারাপ করার চেষ্টা করবে তাদের তো আমরা থামাতে পারব না। তবে কেউ এমনকিছু করলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমরা প্রক্টরিয়াল বডি গিয়ে তাদের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করে আসছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451