শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

বেনাপোল বন্দরে সরকারী নির্দেশ অমান্য করে ব্যাংক বন্ধ থাকায় বন্দর থেকে মালামাল খালাশ বন্ধ: ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ

মহসিন মিলন, বেনাপোল প্রতিনিধি।
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২০
  • ২৯৯ বার পড়া হয়েছে
বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বানিজ্যে স্থবিরতা : আমদানি বানিজ্য কমে রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের ধ্বস নামতে শুরু করেছে

বানিজ্যক  গুলো
বেনাপোল প্রতিনিধি
সরকারী নির্দেশ অমান্য করে দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে ব্যক্তি মালিকানাধীন
বানিজ্যক ব্যাংক গুলো বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। টাকার অভাবে বন্দর থেকে
পণ্য খালাশ নিতে না পারায় বন্দরে আটকা পড়েছে কোটি কোটি টাকার নিত্য
প্রয়োজনীয় পন্যসামগ্রী।
কাস্টমস , বন্দর খোলা থাকলেও ব্যাংক বন্ধ থাকায় আমদানিকারকরা টাকার অভাবে বন্দর থেকে
পণ্য খালাশ করতে পারছেন না। ফলে গোটা ব্যবসায়ী মহলে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ ও
উওেজনা।
বেনাপোল বন্দর এলাকায় মোট ১৮ টি ব্যাংক রয়েছে , অধিকাংশ ব্যাংকগুলো বন্ধ রয়েছে।
সরকার যেখানে বেনাপোল বন্দর সচল রাখতে সাত দিনে ২৪ঘন্টা খোলা রাখার নির্দেশনা
দিয়েছেন সেখানে ব্যাংক বন্ধ থাকায় হতবাক করেছে ব্যবসায়ীদের। শুধুমাত্র খোলা রয়েছে
সোনালী, জনতা , অগ্রনী , ইসলামী ব্যাংক এ ব্যাংক গুলো করোনার মধ্যেও গ্রাহক সেবা
অব্যাহত রেখেছে।
করোনার মধ্যে দেশের সব বন্দর এলাকায় প্রতিদিন ব্যাংক ৩ ঘন্টা খোলা রয়েছে সরকারূী
নির্দেশে। শুধু বেনাপেল বন্দরের ব্যাংক গুলোই পালণ করছে ব্যতিক্রমী ভূমিকা।
প্রতিদিন শুধুমাত্র বেনাপোল সোনালী ব্যাংকেই ৩০/৪০ কোটি টাকার ট্রানজেকশন হয়ে
থাকে। সরকার প্রতিদিন আমদানি রফতানি খাত থেকে ২৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে
বেনাপোল থেকে।
করোনার মধ্যেও বেনাপোল বন্দর থেকে প্রতিনিয়ত খালাশ হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য। শুধু
মাত্র ব্যাংক ব›ধ থাকায় আমদানিকারকরা বেনাপোলে সংশ্লিস্ট ব্যাংকে টাকা পাঠাতে
পারছেন না। ফলে সম্ভব হচেছ না বন্দর থেকে পণ্য খালাশ নেওয়া।
বেনাপোল সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার এ আর এম রকিবুল হাসান জানান, করোনার মধ্যেও
আমরা সপ্তাহে ৫ দিন ব্যাংক খোলা রেখে ্রগাহকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তবে অন্যান্য
ব্যাংক গুলো কেন বন্দ রাখা হয়েছে সেটা আমার জানা নেই। বন্দর এলাকার ব্যাংক গুলো খোলা
রাখা উচিত দেশের স্বার্থে।
বেনাপোল পূবালী ব্যাংকের ম্যানেজার রিপন কুমার জানান, আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের
নির্দেশে আমরা ব্যাংক বন্ধ রেখেছি। গ্রাহকদের অসুবিধা হলে আমাদের কিছুই করার
নেই।

বেনাপোল সিএন্ড এফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ্ব মফিজুর রহমান
সজন জানান, সরকার বেনাপোল বন্দর থেকে বছরে ৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে
থাকে। করোনার কারনে
বেনাপোলে অধিকাংশ ব্যাংক ব›ধ থাকায় আমরা ব্যবসায়ীরা বন্দর থকে পণ্য খালাশ করতে
পারছি না। সরকার যেখানে বেনাপোল বন্দরকে সপ্তাহে ২৪ ঘন্টা খোলা রাখার নির্দেশনা
দিয়েছে , সেখানে ব্যাংক গুলো কিভাবে ইচ্ছেমত ব্যাংক বন্ধ রেখে ব্যবসায়ীদের হয়রানি
করছে সেটা বোধগম্য নয়। অবিলম্বে সব ব্যাংক গুলো খুলে দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি
সরকারের কাছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451