মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৭:৪৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
রিয়াদ-হৃদয়ের ব্যাটে চড়ে সহজ জয় টাইগারদের প্রবাস ফেরত স্ত্রীকে হত্যার পর রক্তাক্ত দা নিয়ে থানায় স্বামী পুড়ছে সুন্দরবন : সর্বশেষ যা জানাল ফায়ার সার্ভিস কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাইয়ের মনোনয়ন বাতিল আল জাজিরার ব্যুরো অফিসে ইসরায়েলি পুলিশের অভিযান ১৫০ উপজেলায় ৩ দিন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, ১০ জেলায় সতর্কতা জারি গুগলকে তিন হাজার কনটেন্ট সরাতে অনুরোধ বাংলাদেশের মুফতি মাহাদী হাসান সাভার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিরব ভোট বিপ্লবে বিজয়ী হওয়ার আশাবাদী রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাকিবুল হাসান মাসুদ

ঝালকাঠিতে প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল দশা ২৩৪ স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৬
  • ৪৩১ বার পড়া হয়েছে

আমিনুল ইসলাম ঝালকাঠি থেকেঃ-বর্তমানে ঝালকাঠিতে ২৩৪টি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চলছে প্রধান শিক্ষক ছাড়া। প্রাক-প্রাথমিক

শিক্ষক নেই ২৯৩টি স্কুলে। সাধারণ সহকারী শিক্ষকের শুন্য পদের সংখ্যা

১৬৫। এছাড়া অনুমোদন নেই শতাধিক পদের। এসব কারণে চরমভাবে

ব্যাহত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম।

জেলায় সরকারি প্রাইমারি স্কুলের সংখ্যা ৫৭৮। এরমধ্যে ৩৬৪টি পুরানো

সরকারি, ২০৭টি নতুন জাতীয়করণকৃত ও সাতটি স্কুল নতুনভাবে

প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে দেশব্যাপী ১৫শ’ স্কুল নির্মাণ প্রকল্পের আওতায়।

২৯টি স্কুলে প্রধান শিক্ষক পদের অনুমোদনই নেই। এরমধ্যে ৩০ বছর

আগে সরকারি হওয়া কাঁঠালিয়ার বলতলা নবলক্ষী সরকারি প্রাথমিক

বিদ্যালয়টিও রয়েছে। এছাড়া নতুন জাতীয়করণকৃত ২১টি ও নতুন

প্রতিষ্ঠা করা সাতটি স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদ অনুমোদিত হয়নি।

বাকি ৫৪৯ স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছেন ৩৪৪ জন। শুন্য

পদের সংখ্যা ২০৫। ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ১৬০ স্কুলের মধ্যে ৬৩টি,

নলছিটি উপজেলায় ১৬৫টি স্কুলের মধ্যে ৬৯টি, রাজাপুর উপজেলায়

১২১টি স্কুলের মধ্যে ৫২টি ও কাঁঠালিয়া উপজেলায় ১৩২টি স্কুলের মধ্যে

৫০টি স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই। সহকারী শিক্ষকরাই এসব স্কুলে প্রধান

শিক্ষকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ফলে তার পক্ষেও নিয়মিত

স্কুলে ক্লাস নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য প্রতিটি স্কুলে একজন করে সহকারী শিক্ষক

থাকার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত শুধু পুরানো সরকারি ৩৬৪টি স্কুলে ওই

শিক্ষক পদের অনুমোদন রয়েছে। এরমধ্যে কর্মরত ২৮৫ জন এবং শূন্য পদ ৭৯।

নতুন জাতীয়করণকৃত ২০৭টি ও নতুন প্রতিষ্ঠিত সাতটিসহ ২১৪টি

স্কুলে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষকের পদ অনুমোদন করা হয়নি। বর্তমানে

ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ৭৭টি, নলছিটি উপজেলায় ৮৬টি, রাজাপুর

উপজেলায় ৬০টি ও কাঁঠালিয়া উপজেলায় ৭০টি স্কুল চলছে প্রাক-

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ছাড়া। সংশ্লিষ্ট স্কুলের সাধারণ সহকারী

শিক্ষকদেরই প্রাক-প্রাথমিক ক্লাস দেখভাল করতে হয়।

সাধারণ সহকারী শিক্ষকের দুই হাজার ৩৯৯টি পদ থাকার কথা থাকলেও

অনুমোদিত পদের সংখ্যা দুই হাজার ২৮৭টি। এরমধ্যে কর্মরত দুই হাজার

১২২ ও শূন্য পদের সংখ্যা ১৬৫। ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ৬১, নলছিটি

উপজেলায় ৩৬, রাজাপুর উপজেলায় ২৫ ও কাঁঠালিয়া উপজেলায় ৪৩টি

সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। নতুন জাতীয়করণকৃত ২১টি স্কুলে

৮৪ জন শিক্ষক কাজ করলেও তাদের পদগুলোর অনুমোদন মেলেনি। এছাড়া

নতুনভাবে প্রতিষ্ঠিত সাতটি সরকারি স্কুলে সহকারী শিক্ষকের ২৮টি

পদের অনুমোদন নেই।

অন্যদিকে, ২০১৩ সালে জেলার ৪টি সরকারি প্রাইমারি স্কুলে ৮ম শ্রেণী

পর্যন্ত ক্লাস চালু করা হলেও এখন পর্যন্ত অতিরিক্ত জনবল দেয়া হয়নি।

বাড়ানো হয়নি শিক্ষকের সুযোগ-সুবিধাও। অনেক শিক্ষক এ ধরনের

স্কুলে কাজ করতে আগ্রহী না। ফলে কাঙ্ধিসঢ়;ক্ষত ফল অর্জিত হচ্ছে না।

প্রয়োজনীয় শিক্ষক না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হবার কথা স্বীকার

করে ঝালকাঠির জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র হালদার

জানান, অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ভাল কাজ করার চেষ্টা রয়েছে। বিভিন্ন

জটিলতার কারণে সহজেই শিক্ষক সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না।

সরকারি প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের মর্যাদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন

সরাসরি নিয়োগ দেয়া যাচ্ছে না। পিএসসি’র সুপারিশের ভিত্তিতে

নিয়োগ হবে। সম্প্রতি ৩৪তম বিসিএস থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে

নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য যেসব স্কুলে প্রধান শিক্ষক

নেই তার তালিকা সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। এর মাধ্যমে জেলার

কিছু শূন্য পদ পূরণের সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণ সহকারী শিক্ষকদের শুন্য

পদ পূরণের জন্য আবেদনপত্রও গ্রহণ করা হয়েছিল। তবে হাইকোর্টে

মামলার কারণে সব আটকে রয়েছে। প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকের শুন্য

পদ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পূরণের কথা। বিষয়টি নিষ্পত্তির অপেক্ষায়

রয়েছে। এছাড়া রেজিস্ট্রার্ড স্কুল সরকারিকরণের প্রথম পর্যায়ের

স্কুলগুলোর সাথে শিক্ষকদেরও জাতীয়করণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয়

পর্যায়ে শুধু স্কুলগুলো জাতীয়করণ হয়েছে। শিক্ষকরা এখনও তার বাইরে

রয়েছেন। শিক্ষক সমস্যার বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা

হয়েছে। তবে কবে নাগাদ সমাধান মিলবে তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা

সম্ভব নয়

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451