শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৩ অপরাহ্ন

শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, আসামি কাদেরের যাবজ্জীবন বহাল

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় সোমবার, ৮ জুলাই, ২০১৯
  • ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে

 

 

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালীতে পাঁচ বছরের এক শিশুকে পাটক্ষেতে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় আসামি আবদুল কাদেরের যাবজ্জীবন বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

বিচারিক আদালতের সাজার বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের আপিল খারিজ করে আজ সোমবার বিচারপতি এ এন এম বশির উল্লাহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফাতেমা রশিদ। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী হাসান শহীদ কামরুজ্জামান।

এ ছাড়া রায়ে আদালত কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে বলেছেন, মরদেহ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী চিকিৎসকের নাম, পদবি এবং প্রতিবেদনের বিষয়টি (তথ্য) স্পষ্ট করে পড়ার উপযোগী করে লিখতে হবে। অর্থাৎ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন তৈরির সময় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের নাম, ঠিকানা, পদবি এবং প্রতিবেদন স্পষ্ট করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছেন আদালত ।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ২০০৩ সালে ধর্ষণের পর এক শিশু হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির করা আপিলের রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। রায়ে আসামির যাবজ্জীবন বহাল রেখেছেন।

এ ছাড়া এক শিশু হত্যার ঘটনায় রায় ঘোষণার সময় হাইকোর্ট ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী চিকিৎসকের নাম এবং প্রতিবেদনের লেখা স্পষ্ট ছিল না। আদালতের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছিল। তাই যে চিকিৎসক ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করবেন তাদের নাম-ঠিকানা (পোস্ট, পদবি) এবং ওই প্রতিবেদন যেন পাঠ করার উপযোগী হয় বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৩ সালের ১ জুলাই যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের বামনখালী গ্রামের রবিউল ইসলামের পাঁচ বছরের শিশু আসমা খাতুনকে পাটক্ষেতে  নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে তার চাচাতো ভাই আবদুল কাদের (১৯)।

এ ঘটনায় চার দিন পরে ঝিকরগাছা থানায় মামলা করেন শিশুটির বাবা। একই বছরের ৩১ আগস্ট আসামি আবদুল কাদেরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর আসামি কাদের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে শিশু আসমাকে ধর্ষণের পর কীভাবে হত্যা করেছে তার বর্ণনা তুলে ধরেন।

এরপর হত্যা মামলায় ২০০৭ সালের  ১১ ফেব্রুয়ারি যশোরের নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূর মোহাম্মদ মোড়ল আসামি আবদুল কাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে আসামির আপিল আবেদন খারিজ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

 

এন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451