বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ধামানিয়াপাড়া গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালক
আমানুল হকের মেয়ে তানিয়া খাতুন। সে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায়
বড়াইগ্রাম মহিলা কারিগরী কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। আর্থিক
অনটনে প্রয়োজনীয় বই কিনতে না পারায় বান্ধবী ও শিক্ষকদের দেয়া বই-
পুস্তকই ছিল তার একমাত্র ভরসা। তানিয়ার বাবা শারীরিকভাবে অসুস্থ। যখন
বেশি অসুস্থ থাকেন তখন ভ্যানও চালাতে পারেন না। সে সময় ৫ সদস্যের
পরিবারের খাবার জোটানোই কঠিন হয়ে পড়ে। তার উপর দুই ছেলেমেয়ের
লেখাপড়ার খরচ যোগানো রীতিমত দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। মেয়ে জিপিএ-৫
পাওয়ায় দারুণ খুশি পরিবারের সবাই। কিন্তু শহরে রেখে অনার্স পড়ানোর
সাধ্য না থাকায় মেয়েকে আর না পড়িয়ে পাত্রস্থ করতে চান এবার। তাই ভাল
রেজাল্ট করেও অর্থাভাবে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের সুযোগ বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায়
আনন্দ ছাপিয়ে অদম্য মেধাবী তানিয়ার দুচোখে জুড়ে নেমে এসেছে
নিঃসীম হতাশা।