বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৭:০১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

শায়েস্তাগঞ্জে কিশোরী ধর্ষণ ও হত্যার প্রধান আসামি এখনও অধরা

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৮
  • ২৩৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলার প্রতিদিন.কম :- হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়ে হাওরের বুকে পড়ে থাকা সেই কিশোরীর মরদেহের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এরপর থেকেই বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিউটি আক্তার (১৬) নামে ওই কিশোরীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয়।

ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ব্রাহ্মণডুরা ইউপির মহিলা সদস্য কলম চান বিবির ছেলে বাবুলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে কলম চান বিবিকে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ এবং বাবুলের বন্ধু ইসমাইল মিয়াকে অলিপুর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার মূল আসামি বাবুল এখনও অধরা রয়ে গেছে। পুলিশ তার খোঁজ পায়নি।

মামলার বিবরণে বাদি উল্লেখ করেন, স্থানীয় মোজাহের উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বিউটি আক্তারকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো মহিলা মেম্বারের ছেলে বাবুল মিয়া। একপর্যায়ে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২১ জানুয়ারি বাবুল তাকে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ বিষয়ে গত ৪ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে একটি মামলা করা হয়।

নির্যাতিতা কিশোরীর বাবার ভাষ্য, এ ঘটনার পর বিউটিকে লাখাই উপজেলার গুনিপুর গ্রামে তার নানার বাড়িতে রেখে আসেন তিনি। ১৬ মার্চ রাত ১২টার দিকে টয়লেটে গিয়ে আর ঘরে ফেরেনি বিউটি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরদিন ১৭ মার্চ গুনিপুর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে হাওরে তার মরদেহ পাওয়া যায়। তার শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায় পুলিশ।

এ ঘটনায় ১৮ মার্চ কিশোরীর বাবা সায়েদ আলী বাদি হয়ে একই গ্রামের বাবুল মিয়া (৩২) ও তার মা ইউপি সদস্য কলম চান বিবিকে (৪৫) আসামি করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে কলম চান বিবিকে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রীজ এবং বাবুলের বন্ধু ইসমাইল মিয়াকে অলিপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মামলার বাদি সায়েদ আলী বলেন, প্রধান আসামিকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ইতিমধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে একজন এজাহার নামীয় ২ নম্বর আসামি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রথম মামলার পর ধর্ষনের বিচার না হওয়ায় ওই কিশোরীকে হত্যার শিকার হতে হয়েছে। পরে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ক্ষতবিক্ষত মরদেহ হাওরের বুকে ফেলে রাখা হয়। বিচার চাইতে গিয়ে এমন পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ধর্ষকের হাতে খুন হয় বিউটি।

শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। এলাকার মানুষজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451