মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

রায়পুরে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় নানান অনিয়ম

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০১৬
  • ২৬৫ বার পড়া হয়েছে

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি ঃ

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থা নানা অনিয়মের বেড়াজালে আটকে গেছে।

ফলে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা সঠিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

রায়পুর উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন হলেও প্রকৃতপক্ষে

শিক্ষার মানোন্নয়ন হয়নি। সরকারি পৃষ্ঠপোকতার অভাবে শিক্ষার মান উন্নয়ন

হচ্ছে না বলে সচেতন মহলের অভিমত।

উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট ১২১টি সরকারি প্রাথমিক

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ২৯ হাজার ১শ ৯৭ জন।

এ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রতিটি স্কুলকে

সরকারী সহযোগীতা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ৪০ হাজার

টাকা, প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ হাজার উপকরন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু

সরেজমিনে ঘুরে ১০-১২টি স্কুলে গেলে দেখাযায় যে, সবাই টাকা তুলে

নিয়েছে ঠিকই কিন্তু উন্নয়নের কাজ কিছুই হয়নি। বিভিন্ন অজুহাতে

দেখিয়ে বিলম্ব করছে দিনের পর দিন। সঠিকভাবে তদারকির অভাবে আইনগত ব্যবস্থা

না নেওয়ার কারনে সরকারি অর্থ লোপাট হওয়ার আশংকা থেকে যাচ্ছে।

অভিবাবক সূত্রে জানা যায়, যারা প্রাইভেট পড়ে শুধু তারাই পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করে।

এদিকে, উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা উপকরণের প্রচুর অভাব রয়েছে।

বিজ্ঞানের সরঞ্জাম, কারিগরি শিক্ষা উপকরণের অভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বতন্ত্র পাঠের

অভাব। নিয়মিত শরীর চর্চা খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চা না থাকায়

শিক্ষার্থীরা মেধা বিকাশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বেশীরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই

সীমানা প্রাচীর, পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা, কমনরুম, ওয়ার্শরুম, রিডিংরুম, মানসম্মত

ক্যান্টিন ও নামাজ বা ইবাদত করার স্থান। সরকার বারবার কোচিং ও প্রাইভেটে বন্ধের

ব্যাপারে তাগিদ দিচ্ছেন। এর পরেও ছাত্র-ছাত্রীরা প্রাইভেট পড়ার দিকে ঝুঁকে

পড়েছে, তেমনি শিক্ষকরাও তাদের এ ব্যাপারে উৎসাহিত করে চলেছেন। বেশিরভাগ

স্কুলেই প্রধান শিক্ষক এবং সহকারি শিক্ষকরা স্কুলের হাজিরা খাতায় নাম স্বাক্ষর

করে চলে যান। কোন কোন স্কুলের ৬ শিক্ষকের স্থলে মাত্র ৩-৪ জন শিক্ষক উপস্থিত

থাকে। তবে অল্প সংখ্যক স্কুলে সরকারি অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার করছে শিক্ষকরা

তাদের দায়িত্ব যাথাযথ ভাবে পালন করছেন।

এছাড়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে নেই পরিচালনা পরিষদের নিয়মিত কমিটি। ফলে

প্রাসনিক কার্যক্রম চলছে হযবরল অবস্থায়। শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রেও

রয়েছে নানা জটিলতা, ব্যক্তিস্বার্থ ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এতে

প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার গুণগতমান থেকে বঞ্চিত

হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ফাতেমা ফেরদৌসী বলেন, আসলে

বিষয়গুলো আমাদের জানা নেই। আমরা যখনই যেই স্কুলে যাই শিক্ষক এবং

ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি দেখতে পাই। সরকারি অর্থ লোপাটের বিষয়টি কেউ

অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451