শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১১:০১ অপরাহ্ন

পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরসভার অপরিকল্পিত উন্নয়ন,স্বাভাবিক চলাচল ব্যহত হওয়ায় নাগরিকরা ক্ষুব্দ

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শনিবার, ১০ মার্চ, ২০১৮
  • ৩২৩ বার পড়া হয়েছে

 

সুজয় চক্রবর্ত্তী পটুয়াখালী ঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরসভার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে পৌরসভার সড়ক
উন্নয়ন কর্মকান্ডে একদিকে নি¤œমানের উপকরন সামগ্রীর ব্যবহার ও যথাযথ নজরদারীর
অভাব এবং অপরদিকে প্রভাবশালী ইট-বালু ব্যবসায়ীদের ছয় চাকার ভারী যানবাহন চলাচলে
ভেঙ্গে যাচ্ছে সড়ক। এছাড়া পৌরসভার নতুন পানির সংযোগ সহ পানি সরবরাহের পাইপ
লাইনে যখন তখন সড়ক খূঁড়ে মেরামতের কারনে সড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘœ ঘটছে।
এরকম অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকান্ডে নাগরিকদের স্বাভাবিক চলাচল ব্যহত হওয়ায়
নাগরিকরা ক্ষুব্দ হয়ে উঠেছে। পৌরকর্তৃপক্ষ নাগরিক বান্ধব শহর গড়ে তোলার কথা বললেও
দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই অদ্যবধি।
স্থানীয় নাগরিক ও সিটিইআইপি প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, কলাপাড়া পৌরসভার
নাগরিকদের নগরিক সেবা নিশ্চিত করতে দাতা সংস্থা এডিবি কোষ্টাল টাউন্ধসঢ়;স
ইনফ্রাসট্রাকচার প্রজেক্ট (সিটিইআইপি) এর অধীনে কয়েকটি প্যাকেজে প্রায় ৩৫
কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ দেয়। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ প্রকল্পের বিপরীতে দরপত্র আহবান করে
এবং ওই দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। প্রকল্প সমূহের কার্যাদেশে মেসার্স পল্লী ষ্টোর্স,
ইউনুস আল মামুন, আরসি-সি- একে-জেভি, রুপালী কনষ্ট্রাকশন এবং জিলানী
ট্রেডার্সের নাম থাকলেও ঠিকাদার বান্ধব পরিবেশের অনুপস্থিতিতে বাস্তবে কাজ করছেন
স্থানীয় কাউন্সিলর ও তাদের অনুসারীরা।
এদিকে শহরের এতিমখানা-অফিস মহল্লা সংযোগ খালের উপর প্রায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে
আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মানের জন্য বছর জুড়ে নাগরিকরা বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে
আসছে। এরপর বক্স কালভার্টটি মাত্র কয়েকদিন ব্যবহারের পর পূনঃরায় এর সংযোগ সড়কে
আরসিসি ড্রেন নির্মানের জন্য সড়কটিতে ফের চলাচল করতে না পারায় ক্ষুব্দ নাগরিকরা
পৌরকর্তৃপক্ষের অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা বলছেন। নাগরিকদের মন্তব্য, বক্স
কালভার্টটির সংযোগ সড়কের কাজের সাথে একত্রে আরসিসি ড্রেন নির্মানের কাজ
করা হলে এমন অবস্থা নাও হতে পারতো।

সিটিইআইপি প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ফারুকুজ্জামান প্রকল্পের শতকরা
আটানব্বই ভাগ কাজ যথাযথ ভাবে সম্পন্ন হওয়ার দাবী করেন।
এ বিষয়ে কলাপাড়া পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মিজানুজ্জামান
জানান, সিটিইআইপি প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ তদারকির জন্য তাদের নিজস্ব কর্মকর্তা
রয়েছে। তারপরও পৌরসভা এসকল কাজের মানের বিষয়ে যথাযথ নজরদারী অব্যাহত রাখছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451