মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন

গোপালগঞ্জে এসেনশিয়াল ড্রাগস লিমিটেড আগামী এপ্রিলেই উৎপাদনে যাচ্ছে

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৭
  • ৪২৭ বার পড়া হয়েছে

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : আগামী এপ্রিলেই উৎপাদনে
যাচ্ছে এসেনশিয়াল ড্রাগস্ধসঢ়; লিমিটেডের গোপালগঞ্জ
প্রকল্প (তৃতীয় প্রকল্প)। প্রকল্পটি উৎপাদনে গেলে দেশের ৭শ’
৭৮ জন ব্যক্তির কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের
৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের অভ্যন্তরে মাটি ভরাট,
ভবন গুলোর সাজসজ্জা, মেশিনারি মালামাল স্থাপন ও জনবল

নিয়োগ সম্পন্ন করেই উৎপাদনে যাবে প্রকল্পটি।
প্রকল্পটি চালু হলে একদিকে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে,
অন্যদিকে এ প্রকল্পের উৎপাদিত উন্নত মানের ওষুধ দেশের
চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করার চিন্তা ভাবনা
রয়েছে বলে জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার
ঘোনাপাড়া নামক স্থানে ১০ একর জায়গার উপর শুরু হয়
এসেনশিয়াল ড্রাগস্ধসঢ়; লিমিটেডের গোপালগঞ্জ প্রকল্প
(তৃতীয় প্রকল্প) কাজ। এ প্রকল্পে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে
৫শ’ ৯৮ কোটি টাকা। প্রকল্পটি চালু হলে একদিকে দেশের
বেকার সমস্যা দূর হবে, পাশাপাশি গোপালগঞ্জবাসীর
দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন বাস্তবে রুপ নেবে। এসেনশিয়াল
ড্রাগস্ধসঢ়; লিমিটেড জরুরি কিছু ওষুধ উৎপাদন করে
থাকে। তারা এ সব ওষুধ নাম মাত্র মূল্যে সরকারি বিভিন্ন
হাসপাতালে সরবরাহ করে থাকে। ফলে দেশের গরিব-অস্বচ্ছল
রোগীরা উপকৃত হয়। এসেনশিয়াল ড্রাগস্ধসঢ়; লিমিটেড
তাদের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে দেশের আনাচে কানাচে
তাদের সেবা সম্প্রসারণ করতে কারখানা তৈরি করছে।
গোপালগঞ্জে এই কারখানাটি চালু হলে সেখানে প্রায়
হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এতে ওই এলাকায়
বেকারত্ব কমবে। পাশাপাশি বাড়বে মানুষের সেবা।
জানা গেছে, প্রকল্পের মোট কাজের ৮০ ভাগ ইতি মধ্যেই
সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ ফাউন্ডারি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
ওয়ার্কস্ধসঢ়; লি: নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দ্বারা
চলমান এ কাজ ইডিসিএল ঢাকা অফিসের ২৪ জন
কর্মকর্তা সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। পরামর্শক
প্রতিষ্ঠানেরও দুইজন কর্মকর্তা এ কাজের নিয়মিত দেখা
শোনা করছেন। প্রকল্পটিতে ৪টি ইউনিট থাকবে, যার
একটিতে তৈরি হবে পেনিসিলিন, অপরটিতে হরমোন
ইনজেকশন ও জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি। তৃতীয়টিতে স্যালাইন ও

অন্যটিতে আয়রন ট্যাবলেট। এ গুলো এ অঞ্চল ছাড়িয়ে দেশের
বিভিন্ন অঞ্চলের ছড়িয়ে পড়বে।
প্রকল্পের উপ-প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও সাইড ইনচার্জ মফিজুর
রহমান শেখ জানান, আমিসহ ইডিসিএল এর ২৪ জন
কর্মকর্তা-কর্মচারী সার্বক্ষনিক তদারকীর মাধ্যমে
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজ বুঝে নিচ্ছি। আমাদের
পাশাপাশি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের দুইজন কর্মকর্তা
সার্বক্ষণিক কাজের গুনগত মান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন।
আশা করছি এখান কার সব কিছু কর্তৃপক্ষের সন্তোষ
জনক হবে। যথাযথ নিয়মে এখানকার সব কর্মকান্ড এগিয়ে
চলছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা বললে গোপালগঞ্জ তৃতীয় প্রকল্পের
প্রকল্প ব্যাবস্থাপক ইমাম হাসান জানান, আশা করছি
আগামী ২০১৮ সালের এপ্রিলের মধ্যে অন্তত একটি
ইউনিটে উৎপাদন কাজ আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্ভোধন করা
হবে। পর্যায় ক্রমে বাকি তিনটি ইউনিটও উৎপাদনে যাবে।
প্রকল্পের অভ্যন্তরে মাটি ভরাট, ভবন গুলোর সাজসজ্জা, বিদেশ
থেকে আমদানি করা উন্নত মানের মেশিনারি মালামাল
স্থাপন ও জনবল নিয়োগ সম্পন্ন করেই উৎপাদনে যাবে
প্রকল্পটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451